চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ
Published: 23rd, June 2025 GMT
তিন দফা দাবিতে ঢাকার শাহবাগ অবরোধ করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ১২টা থেকে তারা শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়জুল আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে তিন দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করছিলাম। কিন্তু আমাদের সঙ্গে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। আমরা চাই, দ্রুত আমাদের তিন দফা মেনে নেওয়া হোক।”
যে তিন দফা দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন—
১.
২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত কমিশনে রূপান্তরের লক্ষ্যে এর সার্বিক পূর্ণ কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করছে এমন সব বিধিনিষেধ— বিশেষ করে এর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) ধারাটি বাতিল করে কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
৩. ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনার আলোকে যেসব ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নামটি পুনস্থাপন করতে হবে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ড আর সদস চ কর চ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
তারুণ্যের কণ্ঠস্বর জোরালো করতে বাংলাদেশে ‘ইয়াং পিপল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ’ চালু ইউনিসেফের
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ইউনিসেফের ‘ইয়াং পিপল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ’ (ওয়াইপিএজি)। যেসব নীতি ও কর্মসূচি শিশু ও তরুণদের ওপর প্রভাব ফেলে, তা গ্রহণে তারুণ্যের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই ইউনিসেফ এই উদ্যোগ নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ইউনিসেফ বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউনিসেফের ‘ইয়াং লিডারশিপ প্রোগ্রাম’-এর সাবেক সদস্যদের নিয়ে ওয়াইপিএজি গঠিত হয়েছে। প্রোগ্রামটি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ‘লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি’ (এলকেওয়াইএসপিপি)-এর সহযোগিতায় যৌথভাবে আয়োজন করা হয়। তরুণদের জ্ঞান, দক্ষতা ও নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে সমাজে টেকসই প্রভাব তৈরির লক্ষ্যে নতুন প্ল্যাটফর্মটি কাজ করবে।
গত বছর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি ও নেতৃত্ব গড়ে তোলার পরিবেশ তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। তাঁর সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাংলাদেশে ওয়াইপিএজি গঠনের পথ খুলে যায়।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘তরুণদের জন্য বিনিয়োগ করলে তারা নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসে, আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং বাস্তব পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। ওয়াইপিএজি নিছক একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি জবাবদিহি, অন্তর্ভুক্তি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করার একটি শক্তির জায়গা।’
তরুণদের জাতীয় বিষয়গুলোতে সম্পৃক্ত করতে ওয়াইপিএজি ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। ইয়াং পিপল অ্যাডভাইজারি গ্রুপের একজন সদস্য সারিয়া চৌধুরী বলেন, ওয়াইপিএজি গঠনের জন্য এটিই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কারণ, তরুণেরা শুধু প্রস্তুত নয়, এরই মধ্যে তাঁরা ভবিষ্যৎ গঠনে কাজ শুরু করেছেন।
আরেক সদস্য নেয়ামুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু মানসিকতার পরিবর্তন নয়, তরুণদের নীতিনির্ধারণে সচেতনতা তৈরি করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতি গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।’
ওয়াইপিএজির সদস্যরা ইউনিসেফের কর্মসূচি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে কৌশলগত ভূমিকা রাখবে। তারা শিশু অধিকার বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে, ইউনিসেফের উদ্যোগে অংশ নেওয়া তরুণদের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবে। তা ছাড়া তারা শিশুদের জন্য নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নেও যুক্ত থাকবে।
এই মডেল মালয়েশিয়া, ইরাক ও থাইল্যান্ডে ইউনিসেফের সফল অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে। ইউনিসেফের বিশ্বাস, তরুণদের নেতৃত্ব ও দক্ষতা তৈরিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু ও তরুণের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।
প্রতিবছর ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালন করা হয়। বিশ্বব্যাপী তরুণদের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৯ সালে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে জাতিসংঘ। পরের বছর ২০০০ সাল থেকে দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্যাপন শুরু হয়।