সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রীর ৫০ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 23rd, June 2025 GMT
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী নুরান ফাতেমার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি হাছান মাহমুদকে। তিনি দেশে নেই—এমন গুঞ্জন ছিল। এর মধ্যে গত এপ্রিলে ঈদুল ফিতরে লন্ডনে ঈদের জামাতে প্রকাশ্যে দেখা গেছে তাঁকে। লন্ডনের গ্যাংসহিল এলাকার আল-কালাম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন তিনি।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ১২টি ব্যাংক হিসাব এবং তাঁর স্ত্রী নুরান ফাতেমার ৩৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি হাছান মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদসহ তাঁদের ছয়টি কোম্পানির নামে থাকা মোট ৮১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্য ছাড়া যে ছয়টি কোম্পানির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ হয়েছে, সেগুলো হলো দ্য বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস লিমিটেড, একাডেমি অব মেরিন এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস, জে এ এস লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস লিমিটেড এবং অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলারস পাওয়ার লিমিটেড।
আরও পড়ুনহাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবারসহ ছয় কোম্পানির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ১৬ জানুয়ারি ২০২৫দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যদের অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান করছে দুদক। এরই অংশ হিসেবে হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ছয়টি কোম্পানিতে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পায় দুদক। বর্তমানে এসব কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা জমা আছে। এখন এসব টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। আদালত শুনানি নিয়ে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
আরও পড়ুনলন্ডনে ঈদের জামাতে প্রকাশ্যে দেখা গেল হাছান মাহমুদকে০১ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে