সিদ্ধিরগঞ্জে ঘর ভাড়ার বকেয়া পাওনা নিয়ে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে হাতাহাতিতে মো. আবুল বাশার (৭০) নামে এক বাড়ির মালিকের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া পরিবারের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- মো. তছর উদ্দিনের ফাতেমা বেগম (৪৫), ছেলে সোহাগ হোসেন (২৯) ও সোহাগের স্ত্রী আলেয়া বেগম (২২)। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। এরআগে সোমবার (২৩ জুন) দিনগত রাত সাড়ে এগারোটায় সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে আবুল বাশারের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন আটককৃত অভিযুক্তরা। গত তিন মাস ধরে ঘর ভাড়া পরিশোধ না করায় বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন।

এ নিয়ে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া পরিবারের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। এর জেরে সোমবার রাতে বাড়ির মালিক অভিযুক্ত ভাড়াটয়াদের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। 

পরবর্তীতে রাত সাড়ে এগারোটার সময় অভিযুক্ত সোহাগ বাসায় এসে দেখতে পান যে তাদের বাড়ির গেটটি আটকানো রয়েছে। তখন বাড়িওয়ালার ছেলে নাফিজ (৩৫) কে গেট খুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন সোহাগ। এক পর্যায়ে নাফিজ গেট খুলে দিয়ে ভাড়াটিয়া সোহাগের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান। 

এসময় বাড়ির মালিকের আরেক ছেলে বাঁধনও (৩২) এসে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন এবং দুই ভাই মিলে ভাড়াটিয়া সোহাগের সাথে হাতাহাতি শুরু করেন। দুই পক্ষের ঝগড়ার আওয়াজ শুনে সোহাগের স্ত্রী, মা এবং বাবা আবুল বাশার এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। ঝগড়া থামাতে গিয়ে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভাড়াটিয়ার ছেলেদের ধাক্কায় লুটিয়ে পড়ে আহত হন বাড়ির মালিক আবুল বাশার। 

পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে শহরের খানপুর ৩০০ শষ্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। 

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, তিন মাসের ঘর ভাড়া পাওনা নিয়ে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া পরিবারের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয়।

তখন ভাড়াটিয়া পরিবারের সদস্যরা বাড়ির মালিককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং তিনি আহত হন। পরে তাকে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিলে সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। 

ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই এবং ভাড়াটিয়া পরিবারের অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং আটককৃতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রয়াধীন রয়েছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ পর ব র র ঘর ভ ড়

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক ৩ 

লক্ষ্মীপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ তিন যুবককে আটক করেছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার (৮ আগস্ট) পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মনির হোসেন মেম্বারের ছেলে আহম্মদ আল মারুফ রবিন (৩৪), আহম্মদ আল আরেফিন রিমন (২৯) ও পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর গ্রামের তোফায়েল আহম্মদের ছেলে এহসান আহম্মেদ (২৪)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে একটি চক্র। অস্ত্র ও ইয়াবাসহ কয়েকজন যুবক পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এই খবরে সেখানে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। সেখান থেকে তারা আহম্মদ আল মারুফ রবিন, আহম্মদ আল আরেফিন রিমন ও এহসান আহমেদকে আটক করেন। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, ম্যাগাজিন, ইয়াবা ও নগদ টাকা জব্দ হয়। 

আরো পড়ুন:

কবুতর চুরির অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো ২

লক্ষ্মীপুর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খাঁন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে আটককৃতদের কাছ থেকে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা, নগদ টাকা ও ইয়াবা জব্দ হয়। 

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দু মোন্নাফ বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হবে।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে বিভিন্ন অপরাধে ২ নারীসহ আটক ৮  
  • লক্ষ্মীপুরে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক ৩