বুধ ও বৃহস্পতিবার এনবিআরে কলমবিরতির ঘোষণা
Published: 24th, June 2025 GMT
চেয়ারম্যানের অপসারণ ও আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের ‘নিপীড়নমূলক’ বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। কর্মসূচি শেষে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি জানিয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবারও একইভাবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সালেহা মল্লিক সাথী ও কর পরিদর্শক রুহুল আমীন। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানকে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী আমলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ঐক্য পরিষদ। তাদের অভিযোগ, রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান। তাই তাকে অপসারণ করতে হবে। তার বিরুদ্ধে অসহযোগ কর্মসূচি যথারীতি চলবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি কার্যক্রম আন্দোলনের আওতামুক্ত থাকবে।
ঐক্য পরিষদ বলছে, কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে ঢাকার ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি এবং ঢাকার বাইরে স্ব স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি চলবে। পাশাপাশি চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ চলবে। তবে চেয়ারম্যানকে আগামী শুক্রবারের মধ্যে অপসারণ না করা হলে শনিবার থেকে কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে।
মঙ্গলবার দেখা গেছে, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব ভবনের নিচে ‘গোলামী আইন বাতিল কর, করতে হবে’, ‘বদলির নামে প্রহসন মানি না, মানবো না’ ইত্যাদি লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন।
গত ২১ জুন সংবাদ সম্মেলনে দ্বিতীয় দফায় প্রথম কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সরকার গত ১২ মে এনবিআরকে দুই ভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করে। এর বিরোধিতা করে গত ২৬ মে পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতির আন্দোলন করেন এনবিআরের অধীন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। আর ২৫ মে রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, এনবিআর বিলুপ্ত নয়, বরং এ প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। এর ফলে ২৬ মে কলমবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। তবে চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও তাকে অসহযোগিতা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত ২০ জুন এনবিআর কাঠামোগত সংস্কার কার্যক্রমে সমন্বয় করার জন্য ছয় সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করে রাজস্ব বোর্ড। এনবিআর সদস্য (কর, লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীকে এই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ঐক্য পরিষদ বলছে, তাদের কোনো প্রতিনিধি না রেখে বিতর্কিত সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনব আর কর মকর ত ক স টমস
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে কলমবিরতি পালন করছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা
আজ সোমবার অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৩ ঘণ্টা এই কর্মসূচি চলবে। সারা দেশের শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
সকাল থেকে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের নিচতলায় অবস্থান করছেন।
গত শনিবার বিকেলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
এনবিআরে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তাঁর মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছু নয় বলে ঐক্য পরিষদ মনে করে। আগে থেকেই ঐক্য পরিষদ রাজস্ব ভবনে চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এর প্রতিবাদে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
শনিবার বিকেলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভায় অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদারকে সভাপতি ও অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকাকে মহাসচিব করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়।