ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন নেইমার জুনিয়র। চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের ক্লাবে খেলবেন তিনি। যার অর্থ ছয় মাসের নতুন চুক্তি করেছেন ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে দেশের জার্সিতে সর্বাধিক গোল করা এই তারকা।   

আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে গত জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লাব সান্তোসের সঙ্গে ছয় মাসের চুক্তি করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। ৩০ জুন ওই চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। নেইমার এরপর কোথায় খেলবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। 

নেইমারের বাবা জানিয়েছিলেন, নেইমারকে ইউরোপের বেশ কিছু ক্লাব দলে নিতে চায়। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে এমন দলও আছে। একটি ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করতে নেইমারের বাবা মায়ামিও গিয়েছিলেন। এছাড়া তুর্কি ক্লাব গালাতাসারায়ের নেইমারে আগ্রহের কথা সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিল। হোসে মরিনহো তাকে দলে নিতে চেয়েছিলেন। 

ওসব গুঞ্জন মাটি চাপা দিয়ে ‘শৈশবের ও প্রাণের ক্লাব’ সান্তোসে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। নতুন চুক্তি করার কারণ হিসেবে সাবেক বার্সা ও পিএসজি তারকা বলেছেন, তিনি সান্তোসে আনন্দ খুঁজে পেয়েছেন। 

নেইমার নতুন চুক্তির পেছনের উৎসাহ সম্পর্কে বলেন, ‘হৃদয়ের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সান্তোস আমার কাছে কেবল একটা ক্লাব নয়, এটি আমার ঘর, আমার শিকড়, আমার ইতিহাস এবং আমার জীবন। এখানে এক বালক হিসেবে এসেছিলাম, তারা আমাকে মানুষ বানিয়েছে, প্রকৃত ভালোবাসা দিয়েছে। নিজেকে এখানে খুঁজে পাই, সত্যিই আনন্দে থাকি। 

এখানে থেকেই আমি আমার জীবনের না পাওয়া স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। আমাকে কেউ থামাতে পারবে না। আমি খেলবো, ফিরে আসবো এবং থেকে যাবো। এখানে আমার সবটা শুরু হয়েছিল এবং এখানে আমার কোনকিছুই কোনদিন শেষ হবে না।’ 

আল হিলাল থেকে নেইমার সান্তোসে ফিরেছেন সময় নিয়ে ফিট হয়ে নিয়মিত ম্যাচ খেলার জন্য। যাতে তিনি ব্রাজিলের ২০২৬ বিশ্বকাপের দলে ডাক পান। নেইমারের উদ্দেশ্য আপাতত ফিট থাকা, সান্তোসের জার্সিতে নিয়মিত ম্যাচ খেলা, ছন্দ ফিরে  পাওয়া এবং আগামী বিশ্বকাপে কার্লো আনচেলত্তির দলে জায়গা পাওয়া।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল নত ন চ ক ত

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের মন্দির

মানুষের মন্দির

এটি ছিল এক বিষণ্ন রাত

ফ্যাকাশে আলোর সঙ্গে,

হৈমন্তী চাঁদের আলোয়

আলোকসজ্জিত আকাশ।

আমরা আনন্দে একত্র হয়েছিলাম

শরতের রোদে রাঙা দুপুরে

আমাদের ঘামের ফসল হাতে

. . . . . . . . . . .

আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি

আমাদের বপনের ঋতুতে

আমাদের যত্নের ঋতুতে,

আমরা ছিলাম অধ্যবসায়ী

আমরা ছিলাম নিবেদিত

আমাদের প্রচেষ্টা প্রতি,

এখন সময় এসেছে ফসল তোলার।

এই সব দিনে

আমরা ভোগ করি পরিশ্রমের ফসল

আমাদের আগে ছিল যারা,

বুঝি না আত্মত্যাগের মানে

যা জন্ম নিয়েছে

নিজের গড়া গৌরবের ছায়া হতে।

আমারও লোভার্ত হাত পৌঁছেছিল সেই আলমারিতে

একটি নিরবচ্ছিন্ন চেতনা নিয়ে,

প্রাচুর্যের মানে বুঝতে অপারগ,

এক নিঃশব্দ অস্বীকৃতির ভারে।

. . . . . . . . . . . .

এই সময়ে

কিছু মানুষ আছে,

আমার প্রতিবেশীরা,

আমার সহপথিক মানবেরা

অক্লান্ত পরিশ্রম করে, তবু ভোগে যন্ত্রণায়।

এদিকে আমার কঠিন চেতনা

আসে আর যায়

সহানুভূতির প্রাঙ্গণ দিয়ে,

ফেলে রেখে যায়

আমার জন্মগত ও ঈশ্বরপ্রদত্ত করুণা,

আমার অসংবেদনশীলতার দ্বারে।

.. . . . . . . . . . .

দশমাংশ কী,

এ কি শুধু এইটুকুই...

আমাদের সীমিত পকেট আর পার্স খালি করা

চাঁদার ঝুড়িতে ফেলার জন্য?

. . . . . . . .

আমি আমার দশম ভেড়া কোথায় দেব,

আমার দশম ছাগল,

আর কোন মন্দিরে...?

এ কি মানুষের তৈরি মন্দির,

ইট, চুনসুরকি আর কাঠ দিয়ে গড়া,

যেখানে আমরা জমায়েত হই

আমাদের স্বেচ্ছায় জমানো অস্থিরতা উজাড় করতে,

নাকি এটা তার চেয়ে বড় কিছু,

একটি মন্দির যা বিরাট কোনো চেতনার জগতে বিরাজমান,

যা আমাদের সকলকে আপন করে জড়িয়ে ধরে?

যখন

যখন সবকিছু ধসে পড়বে,

তখন তুমি কোথায় দাঁড়িয়ে থাকবে?

যখন আকাশ নিজেকে গুটিয়ে নেবে,

তখন তুমি কীভাবে নিশ্বাস নেবে?

যখন তারারা তাদের আলো নিভিয়ে দেবে,

তখন কি আমাদের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতাটাও

অদৃশ্য হয়ে যাবে?

যখন হাসি ব্যথার জন্ম দেবে,

তখন কি আমরা

অর্থবোধক অনুভূতি থেকে

সম্পূর্ণ শূন্য হয়ে যাব?

যখন আমরা আর আহারের জন্য ক্ষুধার্ত থাকব না,

তখন কি আমরা সময়ের মৃত্যুযাত্রায়

নীরবে আত্মসমর্পণ করব?

যখন দিগন্তের শেষ

আমাদের সামনে দাঁড়াবে,

তখন কি আমরা ছুটে বেড়াব

সবকিছু মনে করতে, ফিরে পেতে

যা আমরা অবহেলা করেছি,

ধ্বংস করেছি, ভুলে গেছি?

যখন সব ‘কেন’র উত্তর মিলবে,

তখন কি আমরা অবশেষে বুঝতে পারব?

যেমন মি. স্মিথ বলেছিল নিওকে,

আমরা একধরনের ভাইরাস,

একটা বিপজ্জনক জাত

যাদের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা হলো

ধ্বংস করার দক্ষতা।

এই আত্মনির্মিত দুঃস্বপ্ন

কবে শেষ হবে?

কবে?

সম্পর্কিত নিবন্ধ