প্রশ্ন: ঘন ঘন ঠান্ডা লাগে, হাঁচি আসে, ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে যায়। একটু ধুলাবালু নাকে ঢুকলেই শুধু হাঁচি আসে। এটার সমাধান কী? কারও নাকের মাংস বাড়লে বা পলিপাসের চিকিৎসা আসলে কী? আশা করি, একটা ভালো সমাধান দেবেন।
সুমন আহমেদ
আরও পড়ুনকিছু শিশুর সর্দি-ঠান্ডা লেগে থাকে কেন ২০ এপ্রিল ২০২৫উত্তর: নাকের মাংস বৃদ্ধি ও পলিপাস এক নয়। নাকের মাংস বৃদ্ধিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় হাইপারট্রফিড ইনফেরিয়র টারবিনেট বলা হয়। সাধারণত ডিএনএস বা নাকের হাড় বাঁকা থাকলে কিংবা দীর্ঘদিন ধরে অ্যালার্জিক রাইনাইটিসে ভুগলে নাকের ভেতরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যার ফলে মাংস বৃদ্ধি পেতে পারে। এ কারণে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগে, নাক বন্ধ হয়ে যায়, হাঁচি হতে থাকে। আবার অনেক সময় পলিপাসের কারণেও একই ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই আপনার উচিত হবে, যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ণয় করা।
যদি অ্যালার্জির কারণে নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিহিস্টামিন, মন্টেলুকাস্ট ওষুধ ও নাকের নির্দিষ্ট স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এসব চিকিৎসায় ভালো না হলে সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে। অন্যদিকে, যদি নাকে পলিপাস ধরা পড়ে, তবে তা অপসারণের জন্য এন্ডোস্কপি সাইনাস সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে ঠিক কোন সমস্যার জন্য আপনার এমনটা হচ্ছে, সেটা জানা জরুরি।
আরও পড়ুনগরমেও কেন নাক বন্ধ থাকে২১ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পল প স
এছাড়াও পড়ুন:
টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ
টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম বৃহত্তম তেল পরিশোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের পর এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। যদিও তা এখন পর্যন্ত গত জুনের শেষ দিকের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক দরপতনের পথে আছে।
আজ শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুড ৬১ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ৬২ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে।
যদিও সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্ট ক্রুড ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ৭ শতাংশ কমেছে। কারণ, সরবরাহ অতিরিক্ত থাকার পরও ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে।
সূত্র জানায়, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো নভেম্বরে তেল উৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে, যা অক্টোবরের বৃদ্ধির তিন গুণ। সৌদি আরব বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এটি সৌদি আরবের বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ।
বিশ্লেষক টনি সিকামোর বলেন, যদি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, তাহলে সেটি আবার তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রাথমিকভাবে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এমনকি বছরের সর্বনিম্ন দাম প্রায় ৫৫ ডলারও হতে পারে।
এদিকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদনের সম্ভাব্য বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বৈশ্বিক পরিশোধনাগারের কার্যক্রম ধীরগতি ও মৌসুমি কারণে আগামী মাসগুলোয় চাহিদা হ্রাস পেলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তেলের মজুত দ্রুত বাড়তে পারে, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত বুধবার জানায়, পরিশোধনাগারের কার্যক্রমের ধীরগতি ও চাহিদা কমায় যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিস্টিলেট মজুত বেড়েছ