আবাসন সংকট দূর করাসহ পাঁচ দাবিতে বরিশালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১১টার দিকে তারা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। ফলে নগরীর নতুন বাজার থেকে নথুল্লাবাদ সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান।

এর আগে, আজ সকাল ১০টার দিকে কলেজের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এক পর্যায়ে তারা কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।

আরো পড়ুন:

দ্রুত চাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১০ হাজার কমেছে

শিক্ষার্থীরা জানান, বিএম কলেজে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা নেই। যা রয়েছে, তার অবস্থাও বেহাল। বৃষ্টি হলে কলেজ ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই তারা জলাবদ্ধতা নিরসন করে রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের দাবি করেন। শিক্ষার্থীরা কলেজের মাঠ ভরাট, অডিটোরিয়াম সংস্কার, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সংস্কার ও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান। 

তারা জানান, যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবি মানা না হবে ততদিন পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না।

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

তাইজুল ইসলাম জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনদিন সময় চেয়েছেন। সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি।

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ