সড়ক অবরোধ করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 25th, June 2025 GMT
আবাসন সংকট দূর করাসহ পাঁচ দাবিতে বরিশালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১১টার দিকে তারা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। ফলে নগরীর নতুন বাজার থেকে নথুল্লাবাদ সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান।
এর আগে, আজ সকাল ১০টার দিকে কলেজের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এক পর্যায়ে তারা কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।
আরো পড়ুন:
দ্রুত চাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১০ হাজার কমেছে
শিক্ষার্থীরা জানান, বিএম কলেজে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা নেই। যা রয়েছে, তার অবস্থাও বেহাল। বৃষ্টি হলে কলেজ ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই তারা জলাবদ্ধতা নিরসন করে রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের দাবি করেন। শিক্ষার্থীরা কলেজের মাঠ ভরাট, অডিটোরিয়াম সংস্কার, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সংস্কার ও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান।
তারা জানান, যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবি মানা না হবে ততদিন পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।