চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করা ও রাখাইনের জন্য মানবিক করিডরের উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে আগামী শুক্রবার থেকে রোডমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের বাম সংগঠনের নেতারা। আজ বুধবার নগরীর চেরাগী পাহাড়ে বৈঠকখানা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামের প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে বাম নেতারা দুইদিনব্যাপী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আগামী শুক্রবার ঢাকা থেকে শুরু হওয়া এ রোডমার্চ পরদিন চট্টগ্রামে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা কমিউনিস্ট পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুচ্ছাফা ভূঁইয়া বলেন, ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার চট্টগ্রাম বন্দরকে আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে লিজ চুক্তির আলোচনা শুরু করে। যদিও তখন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলে আওয়ামী লীগের সেই দেশবিরোধী চুক্তি বাস্তবায়ন করার নতুন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দরের হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ছিল ১০ লাখ টিইইউস। অথচ হ্যান্ডলিং হয়েছিল ১২ লাখ ৮১ হাজার টিইইউস। আর এটাই প্রমাণ করে বন্দরের আধুনিকতা ও সক্ষমতা। এই সফলতা সত্ত্বেও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র অনৈতিক ও আত্মঘাতী। রাখাইনের কথিত মানবিক করিডোর বা ত্রাণ চ্যানেল দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার মত ভূ-রাজনৈতিক চক্রান্ত। 

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আশোক সাহা বলেন, এ সরকার স্থায়ী না। জাতীয় কিংবা রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয়ে অগ্রসর হতে হলে এ ধরনের অস্থায়ী সরকার কোনো মৌলিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না সেটা ভাবার বিষয়। 

নূরুচ্ছাফা ভূঁইয়া জানান, দুই দিনব্যাপী রোড মার্চ শুক্রবার শুরু হবে। প্রথমদিন বিভিন্ন বামপন্থি সংগঠন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এ রোডমার্চ করবে। দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামে বামপন্থিদের বিশাল পদযাত্রা ও সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন দুপুর ৩টায় নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় বন্দর ভবন চত্বরে সমাবেশ শেষ হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন মার্ক্সবাদী বাসদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বাসদের ইনচার্জ আল কাদেরি জয়, গণমুক্তি ইউনিয়নের নেতা রাজা মিয়া, সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতা শাহিন মঞ্জুর প্রমুখ। এ সময় বক্তারা কর্মসূচি সফল করতে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক নাগরিক, প্রশাসন ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক রব র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

এনজেল নূরের প্রথম অ্যালবাম ‘প্রাণ-ত’

নিজের জীবনের গল্পে সুর চড়ান এনজেল নূর। প্রথম মৌলিক গান ‘যদি আবার’ গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন তিনি। গানটি ঢাকার গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতায়ও আলোচিত হয়েছে। আরেক মৌলিক গান ‘তিল’ও প্রশংসা কুড়িয়েছে। দুই গানের গল্প বলার ঢঙে জীবনকে সামনে এনেছেন তিনি।

এবার আর একক গান নয়, পুরো অ্যালবামে হাত দিয়েছেন এনজেল। প্রাণ–ত শিরোনামে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করবেন তিনি। ‘কিছু কথা বাকি ছিল’সহ মোট সাতটি গান থাকবে। তবে ‘যদি আবার’ ও ‘তিল’ থাকবে না। অ্যালবামের নামকরণ নিয়ে জানতে চাইলে এই তরুণ গায়ক বলেন, ‘গানগুলো আমার একদম প্রাণে কাছের, ফলে অ্যালবামের নাম প্রাণ–ত। এতে প্রাণজুড়ানো কিছু গান থাকবে, যেখানে কষ্ট বা সুখকে না এড়িয়ে অনুভব করার কথা বলা হয়।’

এনজেল নূর

সম্পর্কিত নিবন্ধ