ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে লালমনিরহাটে হেনস্তার শিকার হিন্দু বাবা-ছেলেসহ পরিবারটির নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে তাদের স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনায় সহযোগিতা করতে স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

‘মব সন্ত্রাসের’ মাধ্যমে হেনস্তা শেষে পুলিশে দেওয়ার ঘটনায় গতকাল বুধবার শহরের গোশালা সোসাইটি চত্বরে স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শরীফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, লালমনিরহাট সেনা ক্যাম্পের মেজর আমির হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হীরা লাল, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শৈলেন বাবু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গুরু চরণ, সাধারণ সম্পাদক অনিন্দ্য কুমার, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শিবেন্দ্র নাথ রায় শিবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা শিবেন্দ্র নাথ রায় শিবু জানান, প্রশাসনের পদক্ষেপে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

এলাকাবাসীকে আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শরীফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘অপরাধের ঘটনায় আইন প্রয়োগের জন্য পুলিশ ও আদালত রয়েছে। হেনস্তার শিকার হিন্দু পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তারা যাতে স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারেন, সেজন্য এলাকাবাসীকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না: রেজাউল

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না। জবাবদিহিমূলক সরকার কায়েম হবে। একটি সুন্দর দেশ গঠন হবে।’’ 

আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টায় মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যা অনুপাতিক পিয়ার পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি এবং ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা শাখা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘‘জবাবদিহিতার অভাবে ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ক্ষমতায় কেন্দ্রীয়করণ হ্রাস পাবে  এবং সংলাপের সংস্কৃতি সৃষ্টি হবে। তাছাড়া প্রতিটি ভোটের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে। সকল দল-মতের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার তৈরি হবে।’’ 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাগুরা জেলা সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল। সঞ্চালনায় ছিলেন সেক্রেটারি হাফেজ মনিরুজ্জামান।

সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ‘‘১৫ বছর ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোঁয়া দেশকে এখনো অনিরাপদ রেখেছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ দলের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও মন্তব্য করতে শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। কোনো অবস্থায় ফ্যাসিবাদের সুযোগ করে দেয়া যাবে না।’’  

চরমোনাই আমীর বলেন, ‘‘৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র সংস্কারে ঐক্যমত তৈরি হয়েছে। সেই সংস্কার হবে হবে রাষ্ট্রের কাঠামোতে, আইনে এবং রাজনৈতিক দলের চরিত্র ও সংস্কৃতিতে।’’  

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাগুরা জেলার সহ-সভাপতি ও মাগুরা-১ আসনে দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা নাজিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাওলানা মশিউর রহমান প্রমুখ।  

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ