ঘটনাটা ঢাকায় ইন্ডিপেনডেন্স কাপে। পাকিস্তানের ম্যাচে বর্তমান জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে এক তরুণীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড তখন বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ‘আফ্রিদি প্লিজ ম্যারি মি’—এই ছিল প্ল্যাকার্ডের বিষয়বস্তু।

খেলাধুলায় এটা নতুন কিছু না। ১৯৯৮ সালে ইন্ডিপেনডেন্স কাপের আফ্রিদির প্রতি এক ভক্তের সেই আহ্বানের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, পরেও ঘটেছে। এখন তো ব্যাপারটা অনেকটাই ডাল-ভাতের মতো। পছন্দের তারকা খেলোয়াড়ের প্রতি কারও এমন আহ্বান দেখে এখন আর আগের মতো কেউ হয়তো গা করেন না। কিন্তু লিওনেল মেসির সঙ্গে যেটা ঘটেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো তা ভাইরাল।

আরও পড়ুনইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ থামলেও ক্লাব বিশ্বকাপে তাঁর খেলা অনিশ্চিত৫৭ মিনিট আগে

মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গত পরশু বাংলাদেশ সময় সকালে পালমেইরাসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ওঠে ইন্টার মায়ামি। এ ম্যাচে গ্যালারিতে ৯৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মেসিকে প্ল্যাকার্ডে বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্ল্যাকার্ডে লিখে আনেন, ‘মেসি উইল ইউ ম্যারি মি?’

ম্যাচের বিরতির সময় মাঠে ছিলেন মেসি। তখন সেই বৃদ্ধা গ্যালারি থেকে মায়ামি তারকার প্রতি প্ল্যাকার্ডটি উঁচিয়ে ধরে তাঁকে ডেকেছেন এবং বিয়ের কথাও বলেছেন। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিও দূর থেকে ইতিবাচকভাবে মিষ্টি হাসিতে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে হাতের ইশারায় তাঁকে প্ল্যাকার্ডটি নামিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত করেন।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৯৮ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার নাম পলিন কানা। যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রীড়াপ্রেমী নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। খেলাধুলার বড় ইভেন্টে নাতি রস স্মিথের ভিডিওতে দেখা যায় তাঁকে।

আরও পড়ুন৭৭ ম্যাচ আর ৫৫৪৬ মিনিট—আলভারেজের বিরামহীন ১২ মাস১ ঘণ্টা আগে

রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার, তাঁর মজার সব টিকটক ভিডিওতেও পলিনকে অংশ নিতে দেখা যায়। টিকটকে ২ কোটি ৩০ লাখ অনুসারী রয়েছে রস স্মিথের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পলিনকে অনেকেই ‘গ্রানি স্মিথ’ নামে ডাকেন। এনএফএল এবং ডব্লুডব্লুইর ম্যাচেও দুজনকে ভিডিওতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

মেসিকে পলিনের বিয়ের প্রস্তাবের এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই মজার সব মন্তব্য করেছেন। ইনস্টাগ্রামে একজন লিখেছেন, ‘তার (পলিন) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আন্তোনেল্লাও পারবে না।’ বেশির ভাগই পলিনের উৎসাহ ও মজা করার মানসিকতার প্রশংসা করেছেন।

আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো মেসির স্ত্রী। প্রেমের পরিণতি হিসেবে ২০১৭ সালে বিয়ে করেন দুজন। তাঁদের তিনটি সন্তান আছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ঘটনা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ের যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, ভারত সেটি লক্ষ্য করেছে।” খবর বিবিসির।

আরো পড়ুন:

বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: সাভারে বিএনপির আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

“একজন কাছের প্রতিবেশি হিসেবে, বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় ভারত কাজ করবে। এ লক্ষ্য আমরা সবসময়, সব ধরনের অংশীদারের সঙ্গে কাজ করে যাব।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ