একসময় রাজধানী ঢাকার খাল, পুকুর, জলাশয় ও নদীগুলো প্রাকৃতিক পানিনিষ্কাশন ও জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ আধার ছিল; কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্প ও পয়োবর্জ্য পরিশোধন না করেই অপসারণের ফলে এসব জলাধার এখন চরম দূষণের শিকার। যা নগরের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ৫৯ শতাংশ বাড়ির পয়োবর্জ্য (মল ও প্রস্রাব) সরাসরি নালা, খাল ও জলাধারে ফেলা হচ্ছে। এসব বাড়ি ঢাকা ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন নালার আওতার বাইরে। নিয়ম অনুযায়ী, এমন ভবনের পয়োবর্জ্য সেপটিক ট্যাংকে রেখে পরিশোধনের বিধান রয়েছে; কিন্তু তা না করে গোপনে পয়োবর্জ্য ফেলা হচ্ছে করপোরেশনের নালায়। যা পরে খাল হয়ে জলাশয় কিংবা নদীতে গিয়ে মিশছে।

ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৩–এর আওতাধীন আটটি ওয়ার্ড এলাকার ‘পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা’ নিয়ে চালানো জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ইউনিসেফের সহযোগিতায় প্রায় আড়াই বছর ধরে (জানুয়ারি ২০২৩ থেকে মে ২০২৫) ২৫ হাজার ৩৮০টি বাড়ি বা ভবনে এ জরিপ চালানো হয়। বাড়িগুলোর অবস্থান ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন গুলশান, বনানী, বারিধারা, নিকেতন, মহাখালী, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, বাড্ডা, খিলগাঁও, মালিবাগ, ইস্কাটন ও মধুবাগ এলাকায়।

ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, সেপটিক ট্যাংক আছে কিংবা ওয়াসার পয়োনালায় যুক্ত এমন বাড়ির পয়োবর্জ্যও অনেক ক্ষেত্রেই অপরিশোধিত অবস্থায় খাল, জলাশয় ও নদীতে মিশছে। কারণ সেপটিক ট্যাংক থাকলেও তাতে জমা বর্জ্য অনেকেই শোধন করেন না। চোরাই পথে নালায় ফেলে দেন। বেসরকারি উদ্যোগেও বর্জ্য শোধনের কাজটি অনেকটাই নামকাওয়াস্তে হয়।

অভিজাত এলাকার পয়োবর্জ্যও নালায়

প্রতিবেদন অনুযায়ী জরিপ চালানো আটটি ওয়ার্ডের ২৫ হাজার ৩৮০টি বাড়ির মধ্যে ১০ হাজার ৪২৭টি ভবন এখনো নির্মাণাধীন কিংবা বসবাস শুরু হয়নি। বাকি ১৪ হাজার ৯৫৩টি বাড়ির মধ্যে ৮ হাজার ৭৮৫টি বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি নালা ও জলাধারে যাচ্ছে। এর মধ্যে করপোরেশনের নালার সঙ্গে সরাসরি পয়োবর্জ্যের সংযোগ দেওয়া হয়েছে, এমন বাড়ির সংখ্যা ৮ হাজার ৩৪৫। বাকি ৪৪০টি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকলেও তা কার্যকর না হওয়ায় নানা উপায়ে ওই সব বাড়ির পয়োবর্জ্যও নালা, খাল বা জলাশয়েই ফেলা হয়।

ঢাকা উত্তর সিটির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২ হাজার ৯৬৯টি বাড়িতে এ জরিপ চালানো হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ ১ হাজার ৭২৮টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি নালায় দেওয়া হয়েছে। ৩০৯টি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকলেও তা কার্যকর নয়। জরিপে মাত্র ৩০ শতাংশ বাড়িতে অর্থাৎ ৯১১টি বাড়িতে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক পাওয়া গেছে।

ঢাকা উত্তর সিটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডটি বারিধারা, নর্দ্দা ও কালাচাঁদপুর এলাকা নিয়ে গঠিত। ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা বারিধারার ১ হাজার ১০১টি বাড়ির মধ্যে ৪৮২টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি নালায় দেওয়া হয়েছে। যা মোট বাড়ির প্রায় ৪৪ শতাংশ। এ এলাকার ৩০৯টি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক কার্যকর নয়।

বারিধারা ছাড়াও গুলশান এলাকার ৭০ শতাংশ বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি নালায় ফেলা হচ্ছে। গুলশানের ৫২৪টি বাড়িতে জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে ৩৬৭টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি নালায় পাওয়া যায়। মহাখালী দক্ষিণপাড়া এলাকার ৮৩ শতাংশ বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি নালায় ফেলা হয়। এলাকাটির ৫৬৯টি বাড়ির মধ্যে ৪৬৮টি বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি নালায় ফেলতে দেখা যায়।

* জরিপটি চালানো হয় গুলশান, বনানী, বারিধারা, নিকেতন, মহাখালী, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, বাড্ডা, খিলগাঁও, মালিবাগ, ইস্কাটন ও মধুবাগ এলাকায়।
* বারিধারা ছাড়াও গুলশান এলাকার ৭০ শতাংশ বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি নালায় ফেলা হচ্ছে।ওয়াসার পয়োনালা থেকে জলাশয়ে

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন নালার সঙ্গে ৩ হাজার ১৯৬টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ পাওয়া গেছে।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে আফতাবনগরের কাছে দাশেরকান্দিতে ৫০০ মিলিয়ন লিটার পয়োনিষ্কাশন ক্ষমতাসম্পন্ন পয়ঃশোধনাগার বা এসটিপি (সু৵য়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) চালু করে ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী দাশেরকান্দি এসটিপিতে তেজগাঁও, নিকেতন, বাড্ডা, বনানী, গুলশান (অংশ), বনানী, রমনা, ইস্কাটন, নয়াটোলা, মগবাজার, ওয়্যারলেস, মৌচাক, আউটার সার্কুলার রোড, মহানগর হাউজিং, হাতিরঝিল, কলাবাগান ও ধানমন্ডি (আংশিক) এলাকার পয়োবর্জ্য শোধন করবে। অর্থাৎ জরিপ চালানো বেশির ভাগ এলাকার পয়োবর্জ্য দাশেরকান্দিতে শোধন করা হবে; কিন্তু দাশেরকান্দিতে পয়োবর্জ্য নিতে এখনো পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়নি।

তাহলে ওই তিন হাজারের বেশি বাড়ির পয়োবর্জ্য কোথায় যাচ্ছে, কীভাবে নিষ্কাশিত হচ্ছে, এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ঢাকা ওয়াসার ওই অঞ্চলের (মডস জোনের) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে। তাঁদের কেউ নাম প্রকাশ করে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে পয়োনিষ্কাশন নালা আছে এমন সব এলাকার পয়োবর্জ্যই পাগলা পয়ঃশোধনাগারে যেত। হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় গুলশান-বনানীসহ ওই এলাকার পয়োনালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দূষিত হচ্ছে খাল, নদী ও জলাশয়

ঢাকার খাল ও জলাশয়ের দূষণ নিয়ে বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট (আইডব্লিউএফএম) ২০১৯ সালে ‘স্টাডি অন আরবান ওয়াটার বডিস অ্যান্ড পলিউশন ইন ঢাকা’ শিরোনামে একটি গবেষণা চালায়। তাতে দেখা যায়, শহরের ৪০টির বেশি খাল দূষণে প্রাকৃতিক অবস্থা হারিয়ে ফেলেছে। অনেক খাল নর্দমায় পরিণত হয়েছে। এই দূষণ মূলত অপরিশোধিত পয়োবর্জ্য সরাসরি খালে ফেলার কারণে।

‘রিভার পলিউশন অ্যান্ড সোশ্যাল ইনিকুইটিস ইন ঢাকা’ শিরোনামে ২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুষ্ক মৌসুমে তুরাগ ও টঙ্গী খালের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা প্রতি লিটারে ১ মিলিগ্রামে নেমে আসে। যেখানে পানিতে প্রাণ ধারণের জন্য ন্যূনতম ৫-৬ মিলিগ্রাম প্রয়োজন। একই সঙ্গে নদীর পানিতে ব্যাপক মাত্রায় অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট ও ফিকাল কলিফর্ম পাওয়া গেছে। এসবের প্রধান উৎস পয়োবর্জ্য। এগুলোর কারণে পানিবাহিত রোগ ছড়ায়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি লিটার (৬০ হাজার ঘনমিটার) অপরিশোধিত তরল বর্জ্য সরাসরি নদী ও জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে নদীর পানি এখন পানযোগ্য তো নয়ই, কৃষিকাজ, গোসল বা মাছ চাষের জন্যও অযোগ্য হয়ে উঠেছে।

পয়োবর্জ্য কোনোভাবেই সরাসরি লেক অথবা খালে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। অথচ বছরের পর বছর নগরজুড়ে নির্বিচারভাবে এটাই হয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ ও নগর সংস্থাগুলো যেন ঘুমিয়ে আছে। যার ফলে ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদে বর্জ্য ও দূষণ বেড়েছে মারাত্মকভাবে। —অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, সভাপতি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সজনবলকাঠামো অনুমোদিত হয়নি

জরিপের উদ্দেশ্য ছিল, পয়োবর্জ্য সরাসরি নালায় ফেলে দেয় এমন বাড়ি চিহ্নিত করে সেপটিক ট্যাংক স্থাপনে বাধ্য করা। পরবর্তী সময়ে ট্যাংকে জমা পয়োবর্জ্য সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় সংগ্রহ করে ওয়াসার দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারে নিয়ে শোধন করা। এ জন্য গত ২০২৩ সালের অক্টোবরে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তিও করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা উত্তর সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাসাবাড়ি থেকে পয়োবর্জ্য সংগ্রহের কাজটি করার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষের আলাদা একটি জনবলকাঠামো প্রয়োজন। ‘ফিক্যাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট’ (এফএসএম) ইউনিট নামে একটি জনবলকাঠামো তৈরিও করেছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। যে জনবলকাঠামো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের মাঝামাঝি অনুমোদনও পেয়েছে। তবে ওই জনবল কাঠামো এখনো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ ছাড়া দাশেরকান্দিতে পয়োবর্জ্য শোধনের জন্য প্রতি লিটার বর্জ্যের জন্য কত টাকা ব্যয় হবে, এর হিসাব ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত করা হতো পয়োবর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহনের ব্যয়। কিন্তু ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সেই ব্যয়ের হিসাব এখনো নির্ধারণ করেনি। যে কারণে বাসাবাড়ি থেকে পয়োবর্জ্য সংগ্রহ ও শোধনে প্রতি লিটার বর্জ্যে ঠিক কত টাকা ব্যয় হবে সেটা নির্ধারণ করা যায়নি।

কর্তৃপক্ষের গাফিলতি-ব্যর্থতা

ঢাকার খাল-জলাশয়ে প্রাণ ও জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, স্বেচ্ছাচারী নগরায়ণের পাশাপাশি ওয়াসার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির অভাব, রাজউক ও ঢাকা দুই সিটি কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও ব্যর্থতায় অধিকাংশ এলাকায় পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছে। ফলে ঢাকার বাসাবাড়ি ও শিল্পকারখানার পয়োবর্জ্যসহ অন্যান্য বর্জ্য নালা-নর্দমা আর খাল-জলাশয়ে সরাসরি নিষ্কাশিত হচ্ছে।

আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ইমারত বিধিমালা, বিল্ডিং কোড ও স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী রাজধানীর পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাসাবাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক করার কথা। পয়োবর্জ্য কোনোভাবেই সরাসরি লেক অথবা খালে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। অথচ বছরের পর বছর নগরজুড়ে নির্বিচারভাবে এটাই হয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ ও নগর সংস্থাগুলো যেন ঘুমিয়ে আছে। যার ফলে ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদে বর্জ্য ও দূষণ বেড়েছে মারাত্মকভাবে।

দূষণ ঠেকানোর পরামর্শ হিসেবে আদিল মুহাম্মদ খান বাসাবাড়িতেই পয়োবর্জ্য শোধনের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা দরকার বলে মনে করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ শ রক ন দ ত কর মকর ত ক র যকর ব যবস থ স গ রহ অন য য় র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইরান

ইসরায়েল ও তার মিত্রদের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করায় বাংলাদেশের সরকার, জনগণ এবং বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের বক্তব্য, বিবৃতি ও শান্তিপূর্ণ উদ্যোগের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইরান দূতাবাস বলেছে, ইরানি জাতির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, বক্তব্য ও বিবৃতির মাধ্যমে যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তা মানবিক সচেতনতা ও ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা এবং জাতীয় মর্যাদার প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইরানের জনগণের প্রতিরোধ শুধু জাতীয় ইচ্ছাশক্তির প্রকাশ নয়, বরং সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান জানাতে এটি একটি বলিষ্ঠ বার্তা। ইরান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুধু একটি বৈধ অধিকারই নয়, বরং একটি নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।

সহিংসতা, আগ্রাসন ও সম্প্রসারণবাদী নীতির মোকাবিলায় জাতিসমূহের পারস্পরিক সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই মূল্যবান সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের জন্য আমরা বন্ধুপ্রতিম ও ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ