ইরানের ওপর হামলাকে ঐতিহাসিক সফলতা বললেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
Published: 26th, June 2025 GMT
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ইরানের উপর মার্কিন হামলাকে ঐতিহাসিক সফলতা বলে দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার পেন্টাগনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেছেন।
হেগসেথে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা হামলার প্রভাব সম্পর্কে প্রাথমিক গোয়েন্দা মূল্যায়নের ব্যাপারে গণমাধ্যমের প্রচার সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা করেছেন। শনিবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর ওয়াশিংটনের সংবাদমাধ্যমগুলো গোয়ন্দা প্রতিবেদনের বরাত দয়ে জানিয়েছিল, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদানগুলিকে ধ্বংস করেনি বরং এটি কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।
হেগসেথ বলেন, “প্রকৃত হামলার দেড় দিন পরে এটি প্রাথমিক ছিল, অথচ তারা লিখিতভাবে স্বীকার করে যে এই ধরনের মূল্যায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে সপ্তাহের প্রয়োজন।”
আরো পড়ুন:
ইরান কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যার তীব্র নিন্দা জানালো ইরান
তিনি বলেন, “আমি আশা করি, সব কালি ছড়িয়ে পড়ার পরে আপনাদের সব সংবাদমাধ্যম মহাদেশীয় নিরাপত্তার এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনকে সঠিকভাবে স্বীকৃতি দেবেন। অন্যান্য প্রেসিডেন্টরা যা করার চেষ্টা করেছিলেন, অন্যান্য প্রেসিডেন্টরা যে বিষয়ে কথা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা অর্জন করেছেন। এটি একটি বিশাল চুক্তি।”
তিনি জানান, ইসরায়েলের পারমাণবিক সংস্থা বলেছে যে মার্কিন হামলা ‘(ইরানের) সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলোকে অকার্যকর করে তুলেছে।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ‘বিশাল ক্ষতি’ হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মনে করে যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিকভাবে সফল আক্রমণ ছিল এবং আমেরিকান হিসেবে আমাদের এটি উদযাপন করা উচিত।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাপাকে তিন কাজের পরামর্শ দিলেন জেপি মহাসচিব শেখ শহীদ
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নতুন পথ চলায় সফলতা অর্জনে তিনটি কাজ গুরুত্বের সঙ্গে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েল কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন তিনি।
শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, “আশা করি কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে এমন এক নেতৃত্বের শুভাগমন ঘটবে যারা জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা করবেন। জাতীয় পার্টির হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার করবেন।”
আরো পড়ুন:
লেভেল প্লেয়িং ছাড়া নির্বাচনে যাওয়া হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটার শামিল: জাপা
তারা বহিষ্কৃত, কাউন্সিল অবৈধ: শামীম পাটোয়ারী
জাতীয় পার্টির নতুন নেতৃত্ব আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়ে জেপি মহাসচিব বলেন, “আমি মনে করি, জাতীয় পার্টিকে তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। তাহলে তারা সফলতা অর্জন করবেন। তার একটা হলো, দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চালু করা, যেটা এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোতে পরিপূর্ণ নাই। এটি নতুন কমিটির প্রথম কাজ হতে পারে। দ্বিতীয় কাজ হবে দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া। আর তৃতীয় কাজ হবে, আগামী দিনে জনগণের জন্য এমন কর্মসূচি গ্রহণ করা, যে কর্মসূচির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা সফল রাষ্ট্রনায়ক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।এই তিনটি কাজ করার জন্য আগামী নেতৃত্ব আগামী দিনে সুদৃঢ পদক্ষেপ নিতে পারেন তবে জাতীয় পার্টি আবারও তার অতীতের গৌরব ফিরে পাবে।”
‘‘আপনাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে-রাজনীতির আকাশে যে কালো মেঘ উঠে, রাত যদি গভীর হয় প্রভাতের উদয় ততই নিকটবর্তী হয়। সেই নতুন সূর্যোদয় অবগাহন করে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা যদি আগামী দিনের পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন তাহলে সফলতা আসবে। নতুন সকালের কর্মজ্জ্বল সূর্যস্নানে দেশবাসীকে তারা স্নাত করতে পারবেন।”
প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধনী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জেপির) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
দলের যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা ও দপ্তর সম্পাদক রাজ্জাক খানের পরিচালনায় কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আকতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জহিরুল ইসলাম জহির, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, আরিফুর রহমান খান, নুরুল ইসলাম মিলন, জিয়াউল হক মৃধা, খান ইসরাফিল খোকনসহ দলটির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা ও বিভিন্ন জেলা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা।
কাউন্সিলে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য, দিদারুল আলম দিদার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) মহাসচিব জাফর আহমেদ জয় প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি