কর্মকর্তাদের নামে ভুয়া স্ক্রিনশট দিয়ে গুজব ছাড়ানো হচ্ছে
Published: 26th, June 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, ডিজি-সিআইসি, কর গোয়েন্দা ইউনিটের কমিশনার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জড়িয়ে ভুয়া মোবাইল স্ক্রিনশট তৈরি করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই আন্দোলনের মধ্যেই এমন তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য সম্বলিত গুজব এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে, যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, সংস্থাটির অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, বিদেশে নিবন্ধন করা একটি ফোন নাম্বার এবং একটি এআই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ভুয়া স্ক্রিনশট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এ ধরনের মিথ্যা গুজব ছড়ানো মারাত্মক ফৌজদারি অপরাধ। যে বা যারা এ কাজের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে এনবিআর আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে এসব ভুয়া মোবাইল স্ক্রিনশট দ্বারা সৃষ্ট গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনব আর স ক র নশট কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ভেজাল বিদেশি প্রসাধনী বিক্রি, গ্রেপ্তার ১
বিদেশি প্রসাধনীর নামে পুরান ঢাকার লালবাগ ও চকবাজারে নকল এবং ভেজাল প্রসাধনী অনলাইনে পাইকারি-খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জের পুরাতন ভাড়ালিয়ায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৯ ধরনের নকল ও ভেজাল প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিআইডির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন খবরের ভিত্তিতে সিআইডির একটি বিশেষ দল ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী কারখানায় পণ্য উৎপাদন ও মোড়কজাত করার সময় মো. হৃদয় হোসেন (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোট ৯ ধরনের ১ হাজার ৭০ প্যাকেট বিভিন্ন রকমের নকল ও ভেজাল প্রসাধনী এবং ২০০টি খালি মোড়ক জব্দ করা হয়। তাঁর বাড়ি কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজার এলাকার পুরাতন ভাড়ালিয়ায়। হৃদয়ের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি ভেজাল প্রসাধনী ও মোড়ক উদ্ধার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।
সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয়ভাবে এসব বিদেশি প্রসাধনী উৎপাদিত হতো, এ বিষয়ে গ্রেপ্তার হৃদয়ের কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। উৎপাদিত ভেজাল প্রসাধনী ঢাকার লালবাগ ও চকবাজারের বিভিন্ন অসাধু পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে সরবরাহ করত প্রতারক চক্রটি। এমনকি অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সেই ভেজাল পণ্য সস্তায় কিনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখধাঁধানো বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতেন।
উদ্ধার ভেজাল পণ্যের মধ্যে রয়েছে ১৪০টি কেম কট থাই, ১৪০টি এল অ্যাভিনিউ হোয়াইটনিং বডি ক্রিম, ১৭০টি অর্গানিক হেয়ারফর অয়েল, ১৪০টি বডি হোয়াইটনিং ক্রিম, ১৪০টি কেম বো হোয়াইটনিং বডি ক্রিম, ১৪০টি অজুফি হোয়াইটনিং বডি ক্রিম, ৬০টি হোয়াইটনিং বডি লোশন, ৫০টি হোয়াইটনিং বডি লোশন, ৯০টি কোরিয়ান ফেয়ার লুক পারমান্যান্ট হোয়াইটনিং বডি লোশন। এ ছাড়া ২০০টি নিউ ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট, স্কিন বডি লোশনের মোড়ক।
সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় হোসেন জানান, এসব প্রসাধনী বাংলাদেশে উৎপাদন বা আমদানি হয় না। চক্রের অন্য সদস্যরা বিদেশের লাগেজ পার্টির মাধ্যমে স্যাম্পল এনে তা কপি করেন এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করেন। তাঁদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এসব প্রসাধনী তৈরি করে তিনি লালবাগ ও চকবাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতেন। পরে তাঁরা বিদেশি প্রসাধনী বলে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করেন। এ ছাড়া অনেক গ্রাহক তাঁর কাছ থেকে পণ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করেন।
প্রতারক চক্রের সহযোগীদের শনাক্ত করে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।