নড়াইলের সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে বজ্রপাতে জাবেদ বিশ্বাস মিঠুল (২০) নামে এক মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়েছেন। এ সময় পাশে থাকা তার বাবা আহত হন।
বৃহস্পতিবার (২৬জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহাবাদ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া পৃথক বজ্রপাতে দুই নারী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মিঠুর বিশ্বাস চাঁদপুর গ্রামের আমিনুর বিশ্বাসের ছেলে। সে স্থানীয় জুড়ালিয়া মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আরো পড়ুন:
ডোমারে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র নিহত, আহত ৩
হাকিমপুরে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে মিঠুল বিশ্বাস ও তার বাবা আমিনুর বিশ্বাস বাড়ির পাশে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে মিঠুল গুরুতর আহত হন এবং তার বাবা আমিনুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মিঠুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, একইদিনে পৃথকস্থানে বজ্রপাতে আহত হয়ে আরো দুইজন নারী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলেন চাঁদপুর গ্রামের লাভলী বেগম (৩৮) ও নড়াইল পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার লিলি বেগম (৬০)।
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার সোহেলী জামান জানান, মিঠুল নামে এক যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বজ্রপাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে গেছে। এছাড়া বাকী আহতরা আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম দুপুরে বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”
ঢাকা/শরিফুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।