ওয়াকফ মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে পৃথক বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বিভাগের ২০২৫ সনের ১৪৬ নম্বর গঠনবিধি অনুসারে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এই বেঞ্চ গঠন করেছেন।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াকফ প্রশাসনের অনিষ্পন্ন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এই বেঞ্চটি গঠন করা হয়েছে ব‌লে শুক্রবার (২৭ জুন) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তিতে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

আগামী রবিবার (২৯ জুন) হতে এই বেঞ্চের কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ আবদুল আওয়াল ও বিচারপতি মো.

মনসুর আলমকে এই বেঞ্চের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। এ বেঞ্চটিকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ওয়াকফ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক ও ইনকামট্যাক্স সংক্রান্ত রীট মোশন ও এসংক্রান্ত শুনানিসহ আরো কিছু বিষয় শুনানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি উপস্থাপন করলে তিনি সদয় বিবেচনার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, ওয়াকফ প্রশাসনের কয়েকশত মামলা বহু বছর ধরে উচ্চ আদালতে অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর ফলে ওয়াকফ এস্টেটের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছিল। ওয়াকফ প্রশাসনের অনেক ভূমিও ইতোমধ্যে বেহাত হয়ে গেছে।

ওয়াকফ সংক্রান্ত মামলাগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত এ বেঞ্চে যৌক্তিক সময়ে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হলে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে, ওয়াকফ প্রশাসনেও গতির সঞ্চার হবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই ব ঞ চ ব চ রপত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ