ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অপহৃত মাদরাসা ছাত্র ফজলুল করিমকে (২০) পাঁচদিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপরহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়কে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডের শিমরাইল এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আনা হয়।

উদ্ধার হওয়া ফজলুল করিম জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের মোহল্লা গ্রামের এম এ কাইয়ুম মিয়ার ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর সিরাজনগরের মলাই ঢালীর বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকেন। 

আরো পড়ুন:

‎আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৮ পুলিশ স্বপদে, উত্তাল বেরোবি

মাগুরায় হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

গ্রেপ্তার তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয় নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মো.

মিজানের ছেলে।

পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদরাসার সামনে থেকে ফজলুল করিমকে অপহরণ করা হয়। পরে ফজলুল করিমের বাবা এম এ কাইয়ুম মিয়ার ইমো আইডিতে ফোন দিয়ে ২ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করেন অপহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। টাকা না দিলে ফজলুল করিমকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় এম এ কাইয়ুম প্রথমে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) এবং গত ২৫ জুন সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পরই ভিকটিমকে উদ্ধারে নামে পুলিশ। র‌্যাবের সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডের শিমরাইল এলাকা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, “বাবার অসুখের কথা বলে ফজলুল করিমকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। পরে অপহৃতের বাবার ইমো আইডিতে ফোন দিয়ে ২ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করেন তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। টাকা না দিলে ফজলুল করিমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তথ্য প্রযুত্তির মাধ্যমে আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপরহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।”

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ ব র হ মণব ড় য় গ র প ত র কর অপহ ত

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, রূপগঞ্জের পশ্চিমগাঁও এলাকার মো. আবু তালেবের মেয়ে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।

২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ
  • ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনে আল কোরআনের কোন বিকল্প নাই : ড. ইকবাল
  • হাসপাতালে শয্যাসংকট, মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা
  • মহানবমীতে আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনে না.গঞ্জ ঐক্য পরিষদ  
  • রূপগঞ্জে চার শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে
  • দুই মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১৯ কিলোমিটার যানজট
  • নারায়ণগঞ্জে সাদাপোশাকে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার, র‌্যাবের ৩ সদস্য আহত
  • বিএনপির এই ভালোবাসা সনাতন সম্প্রদায় ভুলবে না : শিপন সরকার 
  • না.গঞ্জ সদরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
  • রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন