জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চলমান আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে শনিবারের ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি প্রত্যাহারসহ তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআরের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। 

এতে বলা হয়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চলমান আন্দোলন নিরসনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয়ে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান এবং ১৬ জন সদস্য অংশ নেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এক.

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা। দুই. সম্প্রতি এনবিআরের ইস্যু করা কর্মকর্তাদের দুইটি বদলির আদেশ পুনর্বিবেচনা করা। তিন. আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ, এনবিআর সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটি এবং এনবিআরের সদস্যদের সঙ্গে গত ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তির আলোকে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় আলোচনার মাধ্যমে সবার মতামতের ভিত্তিতে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব হবে বলে সরকার প্রত্যাশা করে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানিসহ জনগণের সেবাদান কার্যক্রম সচল রাখাসহ বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি এবং ‘মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি’ প্রত্যাহার করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ দপ্তরে অবস্থান করবে। সবাইকে কার্যক্রমে মনোনিবেশ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনব আর

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ল

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।
১৫ অগাস্ট ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। তার আগেই আরো এক মাস সময় বাড়ানো হলো।

কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

কমিশন গত শুক্রবার জানিয়েছে, সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুলাই সনদ মানার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে তৃতীয় দফায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ