কুমারখালীতে শিয়ালের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
Published: 27th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে শিয়ালের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এক নারী নিহত এবং তার স্বামী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে কুমারখালীর সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম নাছিমা খাতুন (৫০)। তিনি উপজেলার জোতমোড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মজিদের স্ত্রী।
শুক্রবার (২৭ জুন) বাদ জুম’আ জোতমোড়া কবরস্থানে নাছিমা খাতুনের মরদেহ দাফন করা হয়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন নাছিমা ও মজিদ দম্পতি। রাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রাত ১২টার দিকে সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতু এলাকায় শিয়ালের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি উল্টে গিয়ে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নাছিমা।
দুর্ঘটনায় আহত নাছিমার স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, ‘‘চিকিৎসককে দেখিয়ে সিএনজিতে করে রাতে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ সেতু এলাকায় শিয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সিএনজি উল্টে যায়। এতে সিএনজির নিচে চাপা পড়ে নাছিমা। আমিও ছিটকে পড়ে আহত হয়েছি।’’
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের ওসি সৈয়দ আল মামুন বলেন, ‘‘রাতে সিএনজির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সিএনজিটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কাঞ্চন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতু থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে রেললাইন
যমুনা সেতুর ওপর থেকে রেললাইন খুলে ফেলা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ বৃহস্পতিবার নাট-বোল্টসহ যন্ত্রাংশ খোলার কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু চালু হয়েছে। এরপর থেকে সড়ক সেতু দিয়ে ট্রেন চলছে না। যমুনা সেতুর ওপর রেললাইনের প্রয়োজন নেই। এ কারণে সেতু বিভাগ ও রেল বিভাগের মাধ্যমে যৌথ পরিকল্পনায় সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে।
যমুনা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, রেললাইন খোলা শুরু হয়েছে। উপরিভাগে যানবাহনের জটলা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আগামীতে সেতুর দুটি লেন প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। রেললাইন খুলে নেওয়া হলে সড়ক সেতুতে আরও প্রায় সাড়ে তিন মিটার জায়গা বাড়বে। এটা মূল সড়ক সেতুর সঙ্গে সংযোগ করতে পারব। এতে উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার বাড়বে। এ ধরনের সেতু আন্তর্জাতিকভাবে ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত হয়। বর্তমানে যমুনা সেতুর প্রতি লেন ৬ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থ। এ কারণে দুর্ঘটনা বা যানজট হয়। রেললাইন অপসারণের পর প্রতি লেন প্রস্থ হবে প্রায় ৮ মিটার। এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। প্রশস্তকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল কো-অপারেশনের (সাসেক-২) পরিচালক ড. ওয়ালীউর রহমান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, এবারের ঈদে সেতু দিয়ে এক দিনে ৬৫ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণে সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঈদের আগে-পরে বিপাকে পড়ে। সেতুর ওপর কয়েকটি দুর্ঘটনায় এলেঙ্গা ও সিরাজগঞ্জসহ দুই পারে থেমে থেমে যানজট হয়। সেতুর উপরিভাগ প্রশস্ত করা হলে দুর্ঘটনা ও যানজট কমতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন হয়। এর নকশায় রেলপথ ছিল না। পরে সেতুর ওপর উত্তর পাশে লোহার খাঁচা, বার ও অ্যাঙ্গেল যুক্ত করে রেললাইন বসানো হয়। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতি বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি তৈরি হয়।