গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং ‘ডেমন বয়েজ’ গ্রুপের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে গাঁজা, কল্কি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মহেশপুর রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল- কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর গ্রামের মোস্তফা মোল্যার ছেলে ইনতেমাম মোল্যা (২০), গেড়াখোলা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মো.

জিসান (২০), হোগলাকান্দি গ্রামে মনির মুন্সীর ছেলে হামজা মুন্সী (২০), একই গ্রামের আরিফ মোল্যার ছেলে অনিক মাহমুদ (২০), পশ্চিম মাঝিগাতি গ্রামের আসলাম ইয়ামিন শরীফ (২০), একই গ্রামের জালাল মোল্যার ছেলে বেলাল মোল্যা (২০),  এস্কেন মুন্সীর ছেলে আশিক মুন্সী (২০) ও দোলাগ্রামের ওহিদ শেখের ছেলে হামিম শেখ (২০)।

আজ শনিবার কাশিয়ানীর রাতইল হর্টিকালচার আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ইস্তেখার তৌহিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশপুর রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কিশোর গ্যাং ‘ডেমন বয়েজ’ গ্রুপের ৮ সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা জান্নাত তাদের প্রত্যেককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা করে জরিমানা করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে সব ধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

গুগল মেসেজেসে সংবেদনশীল ছবি ব্লার করার সুবিধা সবার জন্য চালু

গুগল মেসেজেসে এখন সবার জন্য চালু হলো সংবেদনশীল আধেয় বা কনটেন্ট শনাক্ত ও সতর্কবার্তা প্রদানের সুবিধা। গত বছরের অক্টোবরে ফিচারটির ঘোষণা দিয়েছিল গুগল। চলতি বছরের এপ্রিলে মেসেজেসের পরীক্ষামূলক সংস্করণের কিছু ব্যবহারকারী প্রথম এ সুবিধা পান। অবশেষে ঘোষণার প্রায় ১০ মাস পর অ্যান্ড্রয়েডের সব ব্যবহারকারীর জন্য ফিচারটি উন্মুক্ত হলো।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ৯টু৫ গুগলের তথ্যমতে, ‘সেনসিটিভ কনটেন্ট ওয়ার্নিংস’ বা সংবেদনশীল কনটেন্ট সতর্কবার্তা চালু করলে নগ্নতা রয়েছে, এমন ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঝাপসা হয়ে যাবে। চাইলে ছবিটি না খুলেই মুছে ফেলা যাবে। এ ধরনের ছবি পাঠানো প্রেরককে ব্লক করার অপশনও থাকবে। তবে ছবি দেখতে হলে ‘নেক্সট’ চাপ দিয়ে অনুমতি দিতে হবে।

গুগল জানিয়েছে, ফিচারটির সব প্রক্রিয়াই ব্যবহারকারীর যন্ত্রে সম্পন্ন হয়। ফলে কোনো সংবেদনশীল ছবি গুগলের সার্ভারে সংরক্ষিত বা আপলোড হবে না। কিশোর ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ফিচারটি ডিফল্টভাবে চালু থাকবে। তত্ত্বাবধানে থাকা অ্যাকাউন্টে এটি বন্ধ করার সুযোগ থাকবে না। তবে অভিভাবকেরা ‘ফ্যামিলি লিংক’ অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্রাপ্তবয়স্ক অ্যাকাউন্টে ফিচারটি ঐচ্ছিক ও ডিফল্টভাবে বন্ধ থাকবে।

সুবিধাটি ব্যবহার করতে চাইলে গুগল মেসেজেস অ্যাপে গিয়ে প্রোফাইল ছবিতে চাপ দিয়ে ‘মেসেজেস সেটিংস’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘প্রটেকশন অ্যান্ড সেফটি’তে গিয়ে ‘ম্যানেজ সেনসিটিভ কনটেন্ট ওয়ার্নিংস’ অপশনে গিয়ে ফিচারটি চালু করা যাবে। পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ফিচারটি ব্যবহার করতে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘সেফটিকোর’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হতে পারে।

ফিচারটি চালু থাকলে শুধু ছবি দেখার সময় নয়, কোনো সংবেদনশীল ছবি পাঠানো বা ফরোয়ার্ড করার আগেও সতর্কবার্তা দেখা যাবে। সতর্কবার্তায় ডান দিকে সোয়াইপ করে অনুমোদন দিতে হবে। এতে অনিচ্ছাকৃতভাবে সংবেদনশীল ছবি শেয়ার হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। এই সতর্কবার্তা কেবল স্থির ছবির ক্ষেত্রে কার্যকর। জিআইএফ বা ভিডিও ফাইলের ক্ষেত্রে সুবিধাটি প্রযোজ্য নয়।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েডপুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ