Prothomalo:
2025-08-12@18:02:26 GMT

শিশুদের মাছ খাওয়া কেন জরুরি 

Published: 28th, June 2025 GMT

মাছের পুষ্টিগুণ

সাদা মাছে প্রোটিন বেশি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম। বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। তৈলাক্ত মাছে আছে ইপিএ ও ডিএইচএ। এই দুটি ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। এ ছাড়া থাকে ভিটামিন ডি, যা হাড়, পেশি ও দাঁতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

মাছ মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। মাছের ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্যামন, ইলিশ, পাঙাশের মতো সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন ডি আছে। ভিটামিন ডি শিশুদের শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে। শক্তিশালী হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম।

এ ছাড়া মাছ সেলেনিয়াম ও আয়োডিনসমৃদ্ধ, যা শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থির বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

শিশুকে মাছ খাওয়াবেন কীভাবে 

অনেক শিশু মাছ খেতে চায় না। এ জন্য অনেক সময় অভিভাবকেরা দায়ী। বেশির ভাগ অভিভাবক ‘আমার বাচ্চা মাছ খায় না’ বলে মাংসকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যেকোনো নতুন খাবার অভ্যস্ত করার সময় দেখতে হবে শিশুটি ভালোভাবে গ্রহণ করছে কি না, অ্যালার্জির কোনো প্রতিক্রিয়া কিংবা বদহজম হচ্ছে কি না। একসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মাছ না খাইয়ে একেকটি করে খাওয়াবেন ও অভ্যস্ত করবেন। বলা হয় যে একটি নতুন খাবার গ্রহণ করতে শিশুদের কমপক্ষে ১৫ বার পর্যন্ত চেষ্টা করতে হয়। বাবা–মাকে ধৈর্যসহকারে অবিচল থাকতে হবে।

● তেলাপিয়া, ডোরি, স্যামন–জাতীয় মাছ ফিশ স্টিক, ফিশ টাকো, ফিশ ফিঙার বা সস দিয়ে বেকড ফিশ করে খাওয়াতে পারেন। 

● রঙিন শাকসবজি দিয়ে মাছ পরিবেশন করুন।

● রান্নার পদ্ধতি পরিবর্তন করে খাওয়াতে পারেন। যেমন ভাপে রান্না করে ভর্তা করে, ভাজা বা গ্রিলের ওপর ভাজা। মাছের মুচমুচে ফ্রাই বা গ্রিল। 

● মাছে কাঁটা থাকে বলে শিশুরা খেতে চায় না। কাঁটা বেছে চপ বা কাবাব, কোফতা, নাগেট করে দিন। 

● কোন মাছের কী পুষ্টিগুণ, কোন মাছ শক্তিশালী, কোন মাছ খেলে বুদ্ধি বাড়ে, হাড্ডি শক্ত হয় এগুলো ছবির বই দিয়ে বুঝিয়ে বলুন। তাহলে মাছ গ্রহণ করতে উৎসাহী হবে।

● পাস্তা, নুডলস, স্যান্ডউইচ বা সালাদে টুনা বা চিংড়ি মাছ দিতে পারেন।

সতর্কতা

● মাছ রান্না করার আগে ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন।

● উচ্চ পারদের পরিমাণ আছে, এমন মাছ খাওয়াবেন না। এমন মাছ শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। কিডনি ও ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

● শেলফিশে মিথাইল মার্কারি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

● বাচ্চাকে টিনজাত মাছ খাওয়ানো উচিত নয়। কারণ, এতে উচ্চ পরিমাণে প্রিজারভেটিভ থাকে। চিংড়ি বা সামুদ্রিক মাছে অ্যালার্জি
হতে পারে। 

গবেষকেরা সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার সামুদ্রিক মাছ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সপ্তাহে একবার পরিবেশন করলে এতে ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম ওমেগা–থ্রির চাহিদা পূরণ হয়।


লিনা আকতার, পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর 

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের নিচে চাপা পড়ে কিশোর নিহত

গাজা উপত্যকায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণবোঝাই বাক্সের নিচে চাপা পড়ে ১৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার গাজার নেতজারিম করিডরের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরের নাম মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদ।

গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহর দখল করতে ইসরায়েলের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলার মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের আঘাতে কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা গেছে, গতকাল গাজার নেতজারিম করিডরের কাছে কিশোর ঈদের চারপাশে কয়েকজন মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। কেউ কেউ ছেলেটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। তার মুখ রক্তাক্ত ছিল। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে আল–জাজিরা।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই কিশোরের ভাই তাকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছেন এবং তার বাবা নুসাইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে তার মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে আছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ঈদের ভাই বলেন, তাঁর ভাই ত্রাণ নিতে গিয়েছিল। উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলা হচ্ছিল। ওই সময় একটি বাক্স সরাসরি তাঁর ভাইয়ের ওপর পড়লে তার মৃত্যু হয়।

ঈদের ভাই আরও বলেন, ‘তারা (যে দেশগুলো সাহায্য পাঠাচ্ছে) সীমান্ত দিয়ে সরাসরি সাহায্য দিতে পারছে না। তারা ওপর থেকে ত্রাণের বোঝা ফেলছে। এতে আমাদের শিশুরা মারা যাচ্ছে।’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ১১ জন ফিলিস্তিনি অনাহারের কারণে মারা গেছেন। এ নিয়ে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টির কারণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ২১২–তে দাঁড়িয়েছে।

জাতিসংঘ বারবার বলেছে, উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলাটা বিপজ্জনক। এগুলো কার্যকরও নয় এবং এতে খরচও বেশি। গাজায় স্থলসীমান্ত দিয়ে নিয়মিত মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে দেওয়ার জন্য বারবার ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের আঘাতে কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন।

গাজার হাসপাতাল সূত্রগুলো বলেছে, গতকাল গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকেই ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ১১ জন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন। এ নিয়ে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টির কারণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ২১২–তে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯৮টিই শিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমেরিকার ফুলব্রাইট বৃত্তি: সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ভাষা ক্লাসে সহায়তা, সেমিস্টারে কোর্স দুটি
  • গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের নিচে চাপা পড়ে কিশোর নিহত