Samakal:
2025-06-28@22:18:38 GMT

‘রাজকন্যারে ফিরায়া দ্যাও’

Published: 28th, June 2025 GMT

‘রাজকন্যারে ফিরায়া দ্যাও’

মেয়েশিশুটি জন্ম নিয়েছিল বুধবার। ফুটফুটে শিশুটিকে দেখে বুক ভরে গিয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। এর তিন দিনের মাথায়ই বুকফাটা আর্তনাদ করতে হচ্ছে তাদের। এক নারী তাদের বুকের ধন চুরি করে পালিয়েছেন। শনিবার সকালে শেরপুরের কালিরবাজার এলাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে ঘটে এ ঘটনা। স্বজনেরা এ ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। 

শিশুটির বাবা ফিরোজ মিয়া শেরপুর পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাপাতলি মহল্লায় বসবাস করেন। তাঁর ভাষ্য, সন্তান প্রসবের জন্য বুধবার স্ত্রী আবেদা বেগমকে নিয়ে যান কালিরবাজারের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি করার পর সেদিন রাতেই সিজারের মাধ্যমে মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তিনতলার একটি কক্ষে আছেন তারা। 

ওই কক্ষে প্রসূতি ও নবজাতককে দেখভাল করছেন ফিরোজের মা ও এক আত্মীয়। তাদের সঙ্গে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয় পরিচয়ে এক অপরিচিত নারী শিশুটিকে দেখতে যান। এক পর্যায়ে সখ্য গড়ে তোলেন। বোরকা পরা থাকায় তাঁকে কেউ চিনতে পারেননি। শনিবার সকালে শিশুটির মা যান শৌচাগারে। অন্য স্বজনেরাও ছিলেন বাইরে। এই সুযোগে শিশুটিকে নিয়ে পালান ওই নারী। 

ফিরোজের অভিযোগ, হাসপাতালের সব কক্ষে সিসিটিভি থাকলেও তারা যে কক্ষে ছিলেন, সেখানে ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল নবজাতক ও মাকে রক্ষা করা। কেন তারা নিরাপত্তা দিতে পারল না? এ সময় পাশে কাঁদছিলেন আবেদা। ‘আমগোর রাজকন্যারে ফিরায়া দ্যাও, কুনখান থেইক্কা আইনা দিবা, জানি না। ওরে না পাইলে আমরা বাঁচতাম না।’ বলে সন্তানকে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানাচ্ছেন তিনি। 

ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, শিশু চুরির ঘটনায় কারা জড়িত, তা জানতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন। 

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। থানায় অভিযোগ হয়নি। তদন্ত চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হজরত আলী (রা.)-এর ১০টি কালজয়ী উক্তি

ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)-এর খুতবা, পত্র ও উপদেশের একটি বিখ্যাত সংকলন হলো নাহজুল বালাগা বা বাগ্মিতার পথ। এটি একাদশ শতাব্দীতে সাইয়্যেদ শরিফ এটি সংকলন করেন।

গ্রন্থটিতে ২৪১টি খুতবা, ৭৯টি পত্র এবং ৪৮৯টি উপদেশ রয়েছে। গ্রন্থটির সংকলক শিয়া মতাদর্শী বলে পরিচিত হলেও শিয়া-সুন্নি উভয় ধারার আলেমরা এই গ্রন্থের সত্যতা স্বীকার করেন, যদিও কয়েকটি বর্ণনা সূত্র নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

নাহজুল বালাগা ইসলামি সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ এবং আলী (রা.)-এর জীবনাদর্শ ও শিক্ষার অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচিত। সেখান থেকে তার ১০টি কালজয়ী উক্তি তুলে ধরা হলো।

গ্রন্থটিতে ২৪১টি খুতবা, ৭৯টি পত্র এবং ৪৮৯টি উপদেশ রয়েছে। গ্রন্থটির সংকলক শিয়া মতাদর্শী বলে পরিচিত হলেও শিয়া-সুন্নি উভয় ধারার আলেমরা এই গ্রন্থের সত্যতা স্বীকার করেন।হজরত আলী (রা.)-এর কালজয়ী উক্তি

১. জ্ঞানের মূল্য: ‘জ্ঞানই তোমার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ; এটি কখনো হ্রাস পায় না বরং বিতরণের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়।’ (নাহজুল বালাগা, উপদেশ ১৯৫)

২. দুনিয়ার সত্যতা: ‘দুনিয়া একটি ক্ষণস্থায়ী ছায়া। এর পেছনে ছুটো না। যা চিরস্থায়ী, তার জন্য প্রস্তুত হও।’ (নাহজুল বালাগা, খুতবা ১০৩)

৩. নীরবতার শক্তি: ‘নীরবতা তোমাকে সম্মান দেয়, আর অপ্রয়োজনীয় কথা তোমার মর্যাদা কেড়ে নেয়।’ (নাহজুল বালাগা, উপদেশ ২২৪)

৪. ন্যায়বিচারের গুরুত্ব: ‘ন্যায়বিচার একটি সমাজের প্রাণশক্তি; এটি ছাড়া সমাজ ধ্বংসের মুখে পড়ে।’ (নাহজুল বালাগা, পত্র ৫৩)

আরও পড়ুনইমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কয়েকটি কারণ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এমন সঙ্গী বেছে নাও যে তোমাকে ভালো পথে নিয়ে যায় এবং তোমার ভুল সংশোধন করে।হজর আলী (রা.), নাহজুল বালাগা, উপদেশ ১৬০

৫. অহংকারের ধ্বংস: ‘অহংকার মানুষের হৃদয়কে অন্ধ করে এবং তাকে পতনের দিকে নিয়ে যায়।’ (নাহজুল বালাগা, উপদেশ ৮৬)

৬. সত্যের পথ: ‘সত্য বলো, এমনকি যদি তা তোমার বিরুদ্ধে যায়। সত্যই তোমার মুক্তির পথ।’ (নাহজুল বালাগা, উপদেশ ১৪৬)

৭. সঙ্গী নির্বাচন: ‘এমন সঙ্গী বেছে নাও যে তোমাকে ভালো পথে নিয়ে যায় এবং তোমার ভুল সংশোধন করে।’ (নাহজুল বালাগা, উপদেশ ১৬০)

৮. ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ: ‘ক্রোধ তোমার শত্রু। যে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে নিজেকে জয় করতে পারে।’ (নাহজুল বালাগা, উপদেশ ১৫৩)

৯. দানের ফজিলত: ‘দান করো, কারণ এটি তোমার সম্পদ কমায় না, বরং তোমার মর্যাদা বাড়ায়।’ (নাহজুল বালাগা, উপদেশ ২৩৬)

১০. আল্লাহর ওপর ভরসা: ‘আল্লাহর ওপর নির্ভর করো, তিনি তোমার সব সমস্যার  সমাধানকারী। যে তাঁর ওপর ভরসা করে, সে কখনো হতাশ হয় না।’ (নাহজুল বালাগা, খুতবা ১১৪)

 সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন ডটকম

আরও পড়ুননামাজ: দাসের মহিমা০৪ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ