Samakal:
2025-10-03@08:46:01 GMT

‘রাজকন্যারে ফিরায়া দ্যাও’

Published: 28th, June 2025 GMT

‘রাজকন্যারে ফিরায়া দ্যাও’

মেয়েশিশুটি জন্ম নিয়েছিল বুধবার। ফুটফুটে শিশুটিকে দেখে বুক ভরে গিয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। এর তিন দিনের মাথায়ই বুকফাটা আর্তনাদ করতে হচ্ছে তাদের। এক নারী তাদের বুকের ধন চুরি করে পালিয়েছেন। শনিবার সকালে শেরপুরের কালিরবাজার এলাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে ঘটে এ ঘটনা। স্বজনেরা এ ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। 

শিশুটির বাবা ফিরোজ মিয়া শেরপুর পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাপাতলি মহল্লায় বসবাস করেন। তাঁর ভাষ্য, সন্তান প্রসবের জন্য বুধবার স্ত্রী আবেদা বেগমকে নিয়ে যান কালিরবাজারের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি করার পর সেদিন রাতেই সিজারের মাধ্যমে মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তিনতলার একটি কক্ষে আছেন তারা। 

ওই কক্ষে প্রসূতি ও নবজাতককে দেখভাল করছেন ফিরোজের মা ও এক আত্মীয়। তাদের সঙ্গে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয় পরিচয়ে এক অপরিচিত নারী শিশুটিকে দেখতে যান। এক পর্যায়ে সখ্য গড়ে তোলেন। বোরকা পরা থাকায় তাঁকে কেউ চিনতে পারেননি। শনিবার সকালে শিশুটির মা যান শৌচাগারে। অন্য স্বজনেরাও ছিলেন বাইরে। এই সুযোগে শিশুটিকে নিয়ে পালান ওই নারী। 

ফিরোজের অভিযোগ, হাসপাতালের সব কক্ষে সিসিটিভি থাকলেও তারা যে কক্ষে ছিলেন, সেখানে ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল নবজাতক ও মাকে রক্ষা করা। কেন তারা নিরাপত্তা দিতে পারল না? এ সময় পাশে কাঁদছিলেন আবেদা। ‘আমগোর রাজকন্যারে ফিরায়া দ্যাও, কুনখান থেইক্কা আইনা দিবা, জানি না। ওরে না পাইলে আমরা বাঁচতাম না।’ বলে সন্তানকে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানাচ্ছেন তিনি। 

ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, শিশু চুরির ঘটনায় কারা জড়িত, তা জানতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন। 

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। থানায় অভিযোগ হয়নি। তদন্ত চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার, আটক ২ 

কক্সবাজারের টেকনাফে যৌথ অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের কবল থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় আটক করা হয় দুইজনকে। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরো পড়ুন:

প্রতিমা বিসর্জনে নৌকাডুবি, নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফে যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার

আরো পড়ুন: টেকনাফে যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার

তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে ১৮ জন নারী, ১২ জন পুরুষ ও আটজন শিশুসহ মোট ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন: টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ উদ্ধার ৮

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, পাচারকারীরা মুক্তিপণ আদায় এবং বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তাদের বন্দি রেখে নির্যাতন করছিল। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের এবং আটককৃত পাচারকারীদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ