যুবককে হাত-পা বেঁধে মারধর, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
Published: 29th, June 2025 GMT
গাজীপুরে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানার ভেতরে চোর সন্দেহে হৃদয় মিয়া নামে এক যুবককে পেটানো হয়। সহকর্মীকে চোর সন্দেহে পেটানো হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে শনিবার দুপুরে কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ওই কারখানার শ্রমিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টা কোনাবাড়ী এলাকা অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
পুলিশ, কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টসের ভেতরে হৃদয় মিয়া নামে ওই যুবক ঢুকে পড়েন। পরে চোর সন্দেহে হাত-পা বেঁধে হৃদয়কে মারধর করে কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কারখানার লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ভুক্তভোগী হৃদয় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার সাগরদিঘি এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
যুবককে পেটানোর ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন জানান, আহত হৃদয় কারখানার শ্রমিক নন। গুজব ছড়িয়ে পড়লে ওই কারখানার শ্রমিকরা দুপুরের দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম রধর সড়ক অবর ধ অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।