জনপ্রিয় কোরিয়ান সিরিজ স্কুইড গেম-এর তৃতীয় ও শেষ সিজনের চূড়ান্ত পর্বে চমকে দিলেন অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট। শেষ দৃশ্যে তাঁর রহস্যময় উপস্থিতি যেন ইঙ্গিত দিয়ে গেল–এটিই কী তবে নতুন খেলার শুরু? নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এই চমকপ্রদ দৃশ্য। কোরিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে এবার ক্যামেরা চলে যায় লস অ্যাঞ্জেলেসে। রাস্তায় এক ভবঘুরের সঙ্গে দেখা যায় দাজিকি খেলছেন কেট ব্লানচেট। 

ঠিক যেমনটা করতেন সিজন-১ এর কোরিয়ান রিক্রুটার গং ইউ। একই গেম, একই থাপ্পড়, শুধু বদলেছে মুখ, পরিবেশ; সম্ভবত নিয়তিও। ওটিটি বিশ্লেষকরা বলছেন, এ দৃশ্য কোনো সাধারণ ক্যামিও নয়। বরং এটি এক সম্ভাব্য আমেরিকান সংস্করণের ইঙ্গিত। কারণ, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গণমাধ্যমে ‘স্কুইড গেম: আমেরিকা’ শিরোনামে নতুন সিরিজ নিয়ে পরিকল্পনা চলছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে জানা যায়, সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখছেন ডেনিস কেলি। 

পরিচালনায় থাকতে পারেন ডেভিড ফিনচার, যিনি এর আগে কেট ব্লানচেটের সঙ্গে ‘দ্য কিউরিয়াস কেস অব বেনজামিন ব্রুটন’-এ কাজ করেছেন। স্কুইড গেমে কেট অভিনীত চরিত্রটির নাম বা ব্যাকস্টোরি প্রকাশ না করা হলেও তাঁর লুক, স্যুট পরা, আত্মবিশ্বাসী চেহারা ও রহস্যময় অভিব্যক্তি–সবই মিল রয়েছে পুরোনো রিক্রুটার চরিত্রের সঙ্গে। পাশাপাশি শেষ পর্বে ফ্রন্টম্যান ইন-হোর লস অ্যাঞ্জেলেস যাত্রা এবং মূল গেম স্টেশন ধ্বংসের সিদ্ধান্তও ইঙ্গিত দেয়, নতুন করে সব কিছু শুরু হতে চলেছে। নেটফ্লিক্স যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া ও ডালাসে স্কুইড গেম-থিম পার্ক চালু এবং রিয়েলিটি শো ‘স্কুইড গেম: দ্য চ্যালেঞ্জ’-এর সফলতা প্রমাণ করে, এই কনটেন্ট নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনেক বড়। শেষ দৃশ্যে কেট ব্লানচেটের উপস্থিতি শুধু একটি টুইস্ট নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক বিস্তারের ঘোষণা। 

কোরিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে এবার কি স্কুইড গেম আমেরিকায়? হয়তো, শুরু হচ্ছে নতুন এক খেলা–নতুন নিয়মে, নতুন শিকার নিয়ে। বলা যায় এটি শেষ নয়, শুরু মাত্র। কারণ স্কুইড গেম এবার কোরিয়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বজয় করতে চলেছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাদাপাথর লুটে মদদদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

সিলেটে সাদাপাথর লুটের পেছনে দায়ী ও মদদদাতা রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকজন অংশ নেন।

বক্তারা জানান, নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি না করে প্রকৃত লুটেরাদের ধরতে হবে। এই সম্পদ রক্ষায় যাঁদের অবহেলা আছে, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশের অন্যতম দর্শনীয় একটি স্থান থেকে প্রকাশ্যে পাথর লুটের ঘটনায় মানুষ বিস্মিত জানিয়ে বক্তারা বলেন, লুটেরাদের সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল। রাজনৈতিকভাবে এখন যাঁদের বিরুদ্ধে লোকদেখানো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে চুনোপুঁটি। রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সেখানে রাজনৈতিক সমঝোতা আছে, দায়িত্বশীলদের যোগসাজশ আছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেটি লোকজন দেখতে পেয়েছেন।

এ ছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ টাঙ্গুয়ার হাওর এখন অভিভাবকহীন। সেখানেও প্রকাশ্যে মাছ আহরণ ও গাছ কাটা হয়। সেখানেও পরিবেশ, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন–জীবিকা সংকটের মুখে। এই হাওর রক্ষায় মুখে মুখে বড় কথা না বলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ। এতে বক্তব্য দেন সামাজিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’–এর আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হাসান আতাহের, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী দীপঙ্কর বনিক, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ