গাজার শিশুদের যেসব ছবি চমকে দেবে অনেককে
Published: 29th, June 2025 GMT
ছোট্ট দেহের প্রায় সব হাড় দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে কঙ্কালের ওপর শুধু চামড়াটাই রয়ে গেছে। গাজায় খাদ্যাভাব কতটা তীব্র পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই শিশুরা।
ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত অনাহার ও অপুষ্টিতে ফিলিস্তিনের গাজায় অন্তত ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। এ জন্য তারা ইসরায়েলের কঠোর অবরোধকে দায়ী করেছে।
গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর চাপ বাড়াতে উপত্যকাটিতে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি খাবার, পানি ও ওষুধের মতো জীবনরক্ষাকারী ত্রাণের প্রবেশেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল শনিবার গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী অবরোধকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার বেসামরিক মানুষকে নির্মূল করতে ইসরায়েল যে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, সেটা এখন দিবালোকের মতো সত্য।
গাজা উপত্যকায় চলমান পরিস্থিতিকে এ কার্যালয় ‘শৈশবের বিরুদ্ধে চলমান অপরাধ’ বলে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুধা, রোগ ও ধীরে ধীরে মৃত্যুর শিকার হওয়া শিশুদের দুর্দশা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের লজ্জাজনক নীরবতার তীব্র সমালোচনা করেছে তারা।
ইউনিসেফ বলেছে, এ সংখ্যা এপ্রিল মাসে ভর্তি হওয়া ৩ হাজার ৪৪৪ শিশুর তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি, আর ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় প্রায় ১৫০ শতাংশ বেশি। ফেব্রুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর ছিল। যে কারণে সে সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ত্রাণসহায়তা গাজায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।বিবৃতিতে কার্যালয় এ বিপর্যয়ের জন্য ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের দায়ী করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। পাশাপাশি জাতিসংঘকে অবিলম্বে গাজার সীমান্তপথগুলো খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গাজার ছোট্ট শিশু ফাদি আল-জান্তের অপুষ্টিতে ভোগার আগের ও পরের ছবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’
প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।