অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বাজারভিত্তিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে আইডিই বাংলাদেশ ঢাকায় লো মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত Catalyzing Markets: iDE Bangladesh Private Sector Engagement Summit 2025-এ তাদের প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে।

সামিটে সরকারি প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, উন্নয়ন সহযোগী এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি খাতের ২০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। 

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, এসিআই, এসএমসি, লাল তীর সিড লিমিটেড, এনআরবিসি ব্যাংক, রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন, রহিম আফরোজ, ইসপাহানি এগ্রো, ব্র্যাক, গ্রামীণ ড্যানন ফুডস লিমিটেড। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংক, এফসিডিও, ইউনিসেফ, জিআইজেড, ইউএনডিপি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইতালীয় ও ডেনিশ দূতাবাসের প্রতিনিধিরা।

সামিটে ১৪টি প্রাইভেট সেক্টর প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং একটি প্রদর্শনী আয়োজন করা হয় যেখানে কৃষি, ওয়াশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পুষ্টি ও ফিনটেক খাতের উদ্ভাবনী সমাধান তুলে ধরা হয়।

সামিটে প্রধান অতিথি ড.

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “আইডিইর এই স্ট্র্যাটেজি একটি সময়োপযোগী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোগ, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকর কাঠামো তৈরি করবে।”

সামিটে বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে ছিলেন উজমা চৌধুরী, মোহাম্মদ মোহিউদ্দিন আহমেদ, কাজি মো. সাফায়েত কবির, ইঞ্জিনিয়ার সাদিদ জামিল, নিতাই পদ সাহা, সামীর কার্কি প্রমুখ। 

আইডিই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, “এই স্ট্র্যাটেজি কেবল একটি নীতি-নির্ধারণী দলিল নয়; এটি একটি যৌথ ভিশনযেখানে ব্যবসা ও উন্নয়ন একসাথে কাজ করে টেকসই সমাধান তৈরি করে যা সকলের জন্য কার্যকর বাজার গড়ে তোলে।”

এই নতুন কৌশলগত রোডম্যাপ আইডিইর চার দশকের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে গঠিত, যার লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে বৃহৎ কর্পোরেশন পর্যন্ত সকলের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবনী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজার ব্যবস্থা তৈরি।

তারা//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইড ই

এছাড়াও পড়ুন:

ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যাচপ্রতি গোল ৩টি, সবচেয়ে বেশি আয় সিটির

খারাপ আবহাওয়া, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর বিপুল আয়, দর্শক উপস্থিতির তারতম্যসহ নানা ঘটনার মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মাঠের খেলা নিয়ে আলাপ হয়েছে সামান্যই। মাঠের খেলা নিয়ে আলোচনা বলতে বোতাফোগোর কাছে পিএসজি ও ফ্ল্যামেঙ্গোর কাছে চেলসির হার, আর্জেন্টাইন ক্লাবগুলোর ভরাডুবি এবং ম্যানচেস্টারের ঘুরে দাঁড়ানো নিয়েই আলোচনা ছিল বেশি। গ্রুপ পর্বে ক্লাব বিশ্বকাপের উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়েই এই আয়োজন।

টিকে থাকা

গ্রুপ পর্ব শেষে ১০টি দেশের ১৬টি দল এখনো টিকে আছে ক্লাব বিশ্বকাপে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দল ব্রাজিলের। ব্রাজিল থেকে আসা ৪টি দলের সব কটিই গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে গেছে। ইউরোপীয়ানদের মধ্যে জামার্নি, ইতালি ও ইংল্যান্ড থেকে আসা দুটি দলের প্রতিটিই দল জায়গা ধরে রেখেছে। স্পেন অবশ্য দুই দলের একটিকে হারিয়েছে। বিদায় নিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।

গোল

গ্রুপ পর্বে সব মিলিয়ে ৪৮ ম্যাচে গোল হয়েছে ১৪৪টি। অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি গোল হয়েছে ৩টি করে। এর বাইরে প্রতিযোগিতায় অনেকগুলো দলের মধ্যে মানের পার্থক্য ছিল স্পষ্ট। এমনকি একটি দলের দুই ম্যাচে ১৬ গোল খাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

প্রতিনিধি

এ প্রতিযোগিতার শুরুতে যে ১২টি ইউরোপীয় দল ছিল, তার মধ্যে ৯টি শেষ ষোলোয় উঠেছে। অর্থাৎ ইউরোপের প্রায় ৮০ শতাংশ দল এখনো টিকে আছে। বাকি দলগুলোর মধ্যে আছে চারটি ব্রাজিলিয়ান দল। এগুলো সব কটিই এখনো জায়গা ধরে রেখেছে। অর্থাৎ ব্রাজিল থেকে প্রতিনিধিত্ব করা শতভাগ দল এখনো প্রতিযোগিতায় আছে। আর অন্যদের মধ্যে মেক্সিকো, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি করে দলের মধ্যে একটি করে দল (৫০%) প্রতিযোগিতায় টিকে আছে। এ ছাড়া আফ্রিকা ও ওশেনিয়ার কোনো দল শেষ ষোলোয় যেতে পারেনি।

আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় কারা উঠল, কে কার মুখোমুখি২৭ জুন ২০২৫

১০০–তে ১০০

গ্রুপ পর্বে একমাত্র দল হিসেবে সব কটি ম্যাচ জিতেছে শুধু ম্যানচেস্টার সিটি। সম্ভাব্য ৯ পয়েন্টের ৯ পয়েন্টই পেয়েছে তারা। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রত্যেকে অন্তত একটি গোল হলেও করেছে।

ফ্ল্যামেঙ্গোর মতো এমন উচ্ছ্বাসে মেতে ব্রাজিলিয়ান দলগুলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যাচপ্রতি গোল ৩টি, সবচেয়ে বেশি আয় সিটির