বন্দরে তালিকাভূক্ত মাদক কারবারির ভাড়াটিয়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে  ২৫০ গ্রাম গাঁজা ও মাদক বিক্রি নগদ ৩১৪০ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়  কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রমজান।

পলাতক মাদক ব্যবসায়ী রমজান বন্দর থানার একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার মাদক সম্রাট হাবিবুর রহমান ওরফে হবি মিয়ার ছেলে।

গত শনিবার (২৮ জুন) রাতে বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর ইস্পাহানীস্থ জনৈক রইসউদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ মাদক বিক্রি টাকা জব্দ করতে সক্ষম হয় ।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এসআই হুমায়ন বাদী হয়ে রোববার (২৯ জুন)  পলাতক মাদক কারবারি রমজানকে আসামী করে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করে।

থানা পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক মাদক ব্যবসায়ী রমজান দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রইসউদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে অভিযান চালালে মাদক ব্যবসায়ী  রমজান পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে  কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

পরে পুলিশ তার বসত ঘর তল্লাশি করে উল্লেখিত গাঁজা উদ্ধার  ও মাদক বিক্রি নগদ টাকা জব্দ করতে সক্ষম হয়।   পলাতক মাদক ব্যবসায়ী রমজানকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।   
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাদাপাথর লুটে মদদদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

সিলেটে সাদাপাথর লুটের পেছনে দায়ী ও মদদদাতা রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকজন অংশ নেন।

বক্তারা জানান, নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি না করে প্রকৃত লুটেরাদের ধরতে হবে। এই সম্পদ রক্ষায় যাঁদের অবহেলা আছে, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশের অন্যতম দর্শনীয় একটি স্থান থেকে প্রকাশ্যে পাথর লুটের ঘটনায় মানুষ বিস্মিত জানিয়ে বক্তারা বলেন, লুটেরাদের সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল। রাজনৈতিকভাবে এখন যাঁদের বিরুদ্ধে লোকদেখানো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে চুনোপুঁটি। রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সেখানে রাজনৈতিক সমঝোতা আছে, দায়িত্বশীলদের যোগসাজশ আছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেটি লোকজন দেখতে পেয়েছেন।

এ ছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ টাঙ্গুয়ার হাওর এখন অভিভাবকহীন। সেখানেও প্রকাশ্যে মাছ আহরণ ও গাছ কাটা হয়। সেখানেও পরিবেশ, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন–জীবিকা সংকটের মুখে। এই হাওর রক্ষায় মুখে মুখে বড় কথা না বলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ। এতে বক্তব্য দেন সামাজিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’–এর আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হাসান আতাহের, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী দীপঙ্কর বনিক, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ