উন্নত গবেষণা সুবিধা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিরাপদ ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ পরিবেশ– এসবের সমন্বয়ে জাপান এখন বিশ্বের উচ্চশিক্ষার্থীদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। প্রতিবছর বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মতো বাংলাদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে পা বাড়াচ্ছেন।  জাপান স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ  আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে উচ্চশিক্ষা অর্জনের একটি চমৎকার সুযোগ। 
এটি মূলত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, যাতে তারা টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করতে পারে। এই স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে। এই স্কলারশিপে সাধারণত আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। যদিও বিভিন্ন সেশনে এর পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে
২০২৫ সালের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি পেতে চাইলে আবেদন করতে হবে। এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান, যেখানে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনভিত্তিক বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র রয়েছে, যা পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।
বৃত্তির সুযোগ–সুবিধা
l নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা জীবনযাত্রার খরচ পাবেন।
l শিক্ষার ব্যয় নির্বাহের জন্য মিলবে আর্থিক সহায়তা।
l জাপানের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ।
l আর্থিক সুবিধা হিসেবে থাকছে পাঁচ লাখ জাপানি ইয়েন।
আবেদনের যোগ্যতা
প্রার্থীদের সেপ্টেম্বর–নভেম্বর সেশনে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে। প্রার্থীদের অবশ্যই জাপান স্টাডি সাপোর্টের একটি নিবন্ধিত ‘মাই পেজ’ থাকতে হবে। ইংরেজি ও জাপানিজ দুই ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনভিত্তিক বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র রয়েছে, যা পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করে।
আবেদনের শেষ তারিখ
৩১ অক্টোবর ২০২৫।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত জানা যাবে : https://www.

jpss.jp/en/
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর থ ক স র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বেকারত্বের বাধা ডিঙাতে প্রয়োজন...

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু দেশের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক বেকারত্ব। হাজার হাজার তরুণ-তরুণী প্রতিদিন চাকরির সন্ধানে হতাশ হয়ে ঘুরছেন। তাই বেকারত্বের প্রকৃত কারণ বিশ্লেষণ ও কার্যকর সমাধানের পথ খোঁজা জরুরি।

বেকারত্ব জটিল সমস্যার নাম, যার মূল কারণ– ১. শিক্ষার মানের দুর্বলতা: দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক বাজারের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। বহু গ্র্যাজুয়েট আজও হাতে শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে বের হন, বাস্তবে যার মূল্য সামান্য। ২. কারিগরি শিক্ষার অবহেলা: কারিগরি ও মেকানিক্যাল শিক্ষা প্রথাগত শিক্ষার চেয়ে পিছিয়ে থাকায় তরুণরা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন থেকে বঞ্চিত। ৩. অপ্রতুল কর্মসংস্থান: শিল্প ও সেবা খাতের পর্যাপ্ত প্রসার না হওয়া, ব্যবসায় খাতের অব্যবস্থা, বিনিয়োগের সংকট– এসব কারণে চাকরির সুযোগ সীমিত। ৪. অপ্রতুল উদ্যোক্তা মনোভাব: ব্যবসা ও উদ্যোক্তাদের যথাযথ সহায়তা না পাওয়া ও ঝুঁকি থেকে বিরত থাকায় নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি কম। ৫. রাষ্ট্রীয় নীতির ঘাটতি ও অবহেলা: দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান নীতিমালা ও বাস্তবায়নে অসামঞ্জস্য ও দুর্বলতা।
বেকারত্ব শুধু ব্যক্তিগত নয়, রাষ্ট্রের জন্যও গভীর নিরাপত্তা ও সামাজিক সংকট তৈরি করে। উচ্চ বেকারত্ব বাড়িয়ে দেয় সামাজিক অস্থিরতা, অপরাধপ্রবণতা ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি। আর্থিকভাবে দেশের সামগ্রিক উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়।

বেকারত্বের হার কমাতে রাষ্ট্রকে অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সম্ভাব্য পদক্ষেপ হতে পারে, শিক্ষার মান উন্নয়ন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাজারমুখী করে গড়ে তুলতে হবে। ন্যূনতম দক্ষতা অর্জন ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণার সমন্বয় বাড়াতে হবে। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষার প্রসার: কারিগরি শিক্ষার মান ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে দক্ষতা ও বাস্তব কর্মপরিবেশে অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে হবে। উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসার সহায়তা: সরকারি প্যাকেজ ও নীতিমালা উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি কমাবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। কর্মসংস্থানবান্ধব পরিবেশ: শ্রমবাজারের প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সার্বিক রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা: দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মসংস্থাননীতি গ্রহণ ও যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। জনসংখ্যা, শিক্ষা, শিল্প ও সেবা খাতের সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নে নজর দিতে হবে।
বেকারত্বের হার বেশি হওয়ার বড় কারণ নারীদের পিছিয়ে পড়া। কিন্তু ২০২৫ সালের বাংলাদেশেও নারীদের কর্মসংস্থানে বড় প্রতিবন্ধকতা নিরাপত্তার অভাব। নিরাপদ পরিবেশ ছাড়া নারীদের পক্ষে দক্ষতা ও সৃজনশীলতা প্রকাশ করা কঠিন। তাই নারীদের জন্য কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মানসিক ও সামাজিকভাবে উৎসাহিত করা এবং কাজের প্রতি আগ্রহ ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের চ্যালেঞ্জ। নারীরা যখন সুরক্ষিত ও প্রেরণা পাবেন, তখনই তারা শ্রমবাজারে বেশি হারে অংশগ্রহণের ব্যাপারে উৎসুক হবেন এবং দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে। রাষ্ট্র ও সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পথে বাধা দূর এবং সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে।

বেকারত্ব শুধু নির্দিষ্ট একটি বিভাগ বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা সমাধান করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং রাষ্ট্রীয় সঠিক নীতি। ২০২৫ সালের বাংলাদেশে বেকারত্ব কমাতে হলে এখনই সময় কর্তৃপক্ষের আন্তরিক ভূমিকা ও সমগ্র সমাজের সচেতনতা গড়ে তোলার। শিক্ষা যদি মানসম্মত হয়, কারিগরি দক্ষতা এবং উদ্যোক্তাদের প্রেরণা বৃদ্ধি পায়, তবেই আমরা বেকারত্বের ভয়াল আঁধার কাটিয়ে সত্যিকার অর্থে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারব।

ফাহিমা আক্তার: শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
fahima.jnu17@gmail.com

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩০ জুন ২০২৫)
  • ঢাকা ক্লাবের নতুন সভাপতি শামীম হোসেন
  • এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হেলথ ইকোনমিকসে মাস্টার্স, ৪০ আসন, জিপিএ ২.৫ হলে করুন আবেদন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২৯ জুন ২০২৫)
  • জাতীয় পুরস্কার পাওয়া ‘পুষ্পমঞ্জরি’ ছাদবাগানে আছে ১২৬ প্রজাতির গাছ
  • খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোতে চাকরি, নিয়োগ পাবেন ৫৯ জন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২৮ জুন ২০২৫)
  • বেকারত্বের বাধা ডিঙাতে প্রয়োজন...