আসিফের মন্তব্যে বাফুফের কাছে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ
Published: 16th, November 2025 GMT
বাংলাদেশের ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবরের অবমাননাকর মন্তব্য নিয়ে নিজেদের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি দিয়েছে বাংরাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাফুফের পাঠানো চিঠির উত্তর চারদিন পর দিয়েছে বিসিবি।
গত ৯ নভেম্বর ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবলারদের ব্যবহার খারাপসহ আরও মাঠ দখলের মতো বিষয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন বিসিবির পরিচালক আসিফ। বিসিবির আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে আসিফের ফুটবল নিয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বরাবর চিঠি দেন। ফিরতি চিঠি পেয়েছে বাফুফে।
আরো পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন আমিনুল
বিসিবির আয়োজন সাংবাদিকদের বয়কট
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বরাবর পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠানে যে তথাকথিত বক্তব্যটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সেই বক্তব্যটি তিনি প্রদান করেছিলেন জেলা প্রতিনিধিত্বকারী কাউন্সিলর হিসেবে, একজন বোর্ড পরিচালক হিসেবে নয়। আমার জানা মতে, তিনি তার নিজ জেলার ক্রিকেট কার্যক্রম ও মাঠ ব্যবহার–সংক্রান্ত কিছু দীর্ঘদিনের হতাশা ও জটিলতা থেকে ব্যক্তিগত ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভবত উক্ত বক্তব্য প্রদান করেছেন।’
আসিফের মন্তব্যের সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্টতা নেই, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত সেই চিঠিতে এমন বার্তাও দেওয়া আছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত মতামত কখনোই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আপনার অবগতির জন্য আমি সুদৃঢ়ভাবে আরও জানাতে চাই, বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স ২০২৫–এ প্রদানকৃত বক্তব্যটি ছিল সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি এবং সেটিকে বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের বক্তব্য হিসেবে বিবেচনা করা সম্ভব হবে না।’
পাশাপাশি দুঃখও প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘যদি উক্ত বক্তব্যের কারণে ফুটবল পরিবার বা ভক্তদের মনে কোনো ধরনের আঘাত বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
গত রোববার বিসিবির কনফারেন্সের উদ্বোধনী দিনে বক্তব্যে ক্রিকেটকে ‘আভিজাত্যের খেলা’ আখ্যা দেন আসিফ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষজন একটু ভদ্র স্বাভাবিকভাবেই, আভিজাত্যের ইস্যু আছে এখানে। আমার আবার একটু সমস্যা আছে। আমি আবার অত ভদ্র না। যেহেতু আমি অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার, অনেক আগের.
এরপর থেকে আসিফের মন্তব্য নিয়ে কড়া সমালোচনার ঝড় উঠে। বাফুফের প্রতিবাদ জানানোর পর বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনল।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল কনফ র ন স আস ফ র আম ন ল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে সনদ বাস্তবায়ন ঝুঁকিতে পড়বে: খেলাফত মজলিস
গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত যথার্থ নয় বলে জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে দলটির আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জাতীয় নির্বাচন, গণভোটসহ অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তিনি। ভাষণের আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ আদেশ জারি করেন। এর মধ্য দিয়ে জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি পেল।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিবৃতিতে মাওলানা আবদুল বাছিত বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশ জারির সিদ্ধান্ত ইতিবাচক এবং জন–অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ। এটি জনগণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের প্রত্যাশা পূরণে এক ধাপ অগ্রগতি।
তবে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত যথার্থ নয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন খেলাফত মজলিসের আমির। তিনি বলেন, এতে সনদ বাস্তবায়ন ঝুঁকিপূর্ণ হবে। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, সে প্রশ্নও রয়েছে। এতে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আরও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক হলে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে করা সম্ভব বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।