ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে কটূক্তির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক শামসুল আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হজরত মুহাম্মদ (সা.

)–কে নিয়ে কটূক্তি করে বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক) ধারা অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী শৃঙ্খলাসংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮-এর ধারা ২। গ. অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ তদন্ত করে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক শামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের ধারা ৪(১) (খ) অনুযায়ী উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য ওই শিক্ষার্থীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার স্ক্রিনশর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। গত শনিবার মধ্যরাতে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন একদল শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তাঁরা। গতকাল শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দ্রুততম সময়ে বিচার ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান। এরপর আজ সকাল সাতটার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানানো হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

শাহ আরেফিন টিলা থেকে আবার পাথর লুট, ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর লুট থামছে না। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের অভিযানে কোম্পানীগঞ্জের টুকেরবাজার এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি পাথরসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

পরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ব্যবসায়ীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ওই পাথর ব্যবসায়ীর নাম মনির হোসেন (৩৫)। তিনি কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুরের খায়ের গাঁও এলাকার বাসিন্দা। টুকেরবাজার এলাকায় তাঁর স্টোন ক্রাশার মিল (পাথর ভাঙার) আছে। শাহ আরেফিন টিলা থেকে লুট হওয়া পাথর মজুত রাখেন তিনি। পরে পাথরগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। গতকাল রাতে বিক্রির জন্য ট্রাকে থাকা পাথরসহ তাঁকে আটক করা হয়। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সরকারি খাস খতিয়ানে ১৩৭ দশমিক ৫০ একর জায়গায় শাহ আরেফিন টিলার অবস্থান। কথিত আছে, প্রায় ৭০০ বছর আগে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর অন্যতম সফরসঙ্গী হজরত শাহ আরেফিন (রহ.) খাসিয়া পাহাড় এলাকা পরিভ্রমণকালে পাহাড়-টিলার চূড়ায় বিশ্রাম নিতেন। শাহ আরেফিনের একটি ‘আসন’ (বিশ্রামের স্থান) হিসেবে পরিচিতি থেকে ওই টিলার নামকরণ হয় শাহ আরেফিন টিলা।

লালচে, বাদামি ও আঠালো মাটির এ টিলার নিচে আছে বড় বড় পাথর। এসব পাথর উত্তোলন করতেই চলছে ধ্বংসযজ্ঞ। এর মধ্যে টিলার প্রায় ৮৫ শতাংশ পাথর লুট হয়ে গেছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহ আরেফিন টিলা থেকে আবার পাথর লুট, ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড