আদালত চত্বরে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন কেন নয়, রুল হাইকোর্টের
Published: 30th, June 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব ট্রাইব্যুনাল ও অধস্তন আদালত চত্বরে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীন আদালতরক্ষী বা কোর্ট সিকিউরিটি (সিএফ) নামে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুল দেন।
আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নামের নরসিংদীর এক বাসিন্দা গত ১২ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন। আজ আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
শঙ্কামুক্ত পরিবেশে বিচারকার্য পরিচালনা, সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব ট্রাইব্যুনাল ও অধস্তন আদালত চত্বরে আইনজীবী, জনসাধারণের স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীন কারারক্ষীর মতো পৃথক আদালতরক্ষী বা কোর্ট সিকিউরিটি (সিএফ) নামে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে রিট আবেদনকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, সুরক্ষা বিভাগের সচিব, আইনসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এআই নিয়ে টার্মিনেটর সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সতর্কবার্তা
১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমা দেখেছেন অনেকেই। জেমস ক্যামেরনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সেই সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির স্কাইনেট নামের একটি কাল্পনিক এআইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি পুরো মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। কাল্পনিক সেই এআইয়ের স্রষ্টা জেমস ক্যামেরন এবার বাস্তবের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার আশঙ্কা, এআই প্রযুক্তি লাগামহীনভাবে সামরিক প্রযুক্তিতে যুক্ত হলে মানবসভ্যতা টার্মিনেটরের মতো সর্বনাশের মুখে পড়তে পারে।
রোলিং স্টোন সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানান, সামরিক ক্ষেত্রে এআইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি মানুষের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। মানবজাতি এখন একসঙ্গে তিনটি বড় সংকটের মুখে। এগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার এবং অতিবুদ্ধিমান এআই। এই তিনটি সংকট একই সময়ে তীব্র আকার ধারণ করছে, যা মানব ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এআই পারমাণবিক বিপর্যয়ের সমতুল্য দুর্যোগ ঘটাতে পারে বলে মনে করেন ৩৬ শতাংশ এআই গবেষক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করে বলেছেন, খুব শিগগির এআই ও পারমাণবিক অস্ত্রের সমন্বয় প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।
যুদ্ধাস্ত্রে এআই ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও চলচ্চিত্র নির্মাণে এর সীমিত ও পরিকল্পিত ব্যবহারকে সমর্থন করেন ক্যামেরন। তার মতে, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের ক্ষেত্রে এআই ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারে। এআই সৃজনশীল প্রক্রিয়ার গতি বাড়ালেও চিত্রনাট্যকার বা অভিনেতার জায়গা নিতে পারবে না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া