অবৈধ অভিবাসী মা–বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর
Published: 30th, June 2025 GMT
রিপাবলিকান মার্কিন সিনেটর মার্কওয়েইন মুলিন গতকাল রোববার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের সঙ্গে সে দেশে জন্ম নেওয়া তাঁদের শিশুদেরও বিতাড়িত করা উচিত।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের লক্ষ্যে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্তের কারণে তাঁর ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়ার পথ সুগম হয়েছে।
আরও পড়ুনজন্মসূত্রে নাগরিকত্বের ইতি টানতে চান ট্রাম্প, অন্যান্য দেশের কী অবস্থা১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনেটর মুলিন বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে তাঁদের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হলে শিশুদেরও বের করে দেওয়া উচিত।
আদালতের ওই আদেশে ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশটি বৈধ কি না, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। অথচ আদেশটি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের একটি নীতি বদলে যাবে। ওই নীতি অনুযায়ী, কোনো শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই সে দেশটির নাগরিকত্ব পাবে, হোক তার মা–বাবা অবৈধ বা বৈধ অভিবাসী।
এনবিসির ক্রিস্টেন ওয়েলকার মুলিনকে প্রশ্ন করেন, যেসব শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্মেছে, তারা বর্তমান আইনে মার্কিন নাগরিক। কিন্তু তাদের মা–বাবা যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হন, তাহলে ওই শিশুদের কী হবে?
আরও পড়ুনট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ ঠেকানোর ক্ষমতা কমল নিম্ন আদালতের২৭ জুন ২০২৫জবাবে মুলিন বলেন, ‘মা–বাবা যেখানে থাকবেন, তাদেরও সেখানেই যাওয়া উচিত। আপনি কেনই–বা কোনো শিশুকে তার মা–বাবার কাছে পাঠাবেন না? আমি বলতে চাচ্ছি, কেন আপনি তাদের আলাদা করতে চাইবেন?’
শুক্রবার আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে অভিবাসী ও তাঁদের সমর্থকদের মনে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। কারণ, তাঁরা বুঝে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন। যদি কিছু অঙ্গরাজ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব কার্যকর থাকে, কিন্তু অন্যগুলোয় না থাকে, তবে বাস্তবে এর প্রভাব কী হবে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন২১ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
পাবিপ্রবিতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) পাবিপ্রবির কনভেনশন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের ২১৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল- আওয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যপক ড. মো. শামীম আহসান।
আরো পড়ুন:
জাবিতে নারী শিক্ষার্থী হেনস্তা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত নিয়ে যা জানা গেল
বেরোবিতে নোটিশ ছাড়াই ভর্তি ফি দ্বিগুণ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
এদিকে, একই অনুষ্ঠানে অনুমোদনকৃত ১০টি গবেষণা উদ্ভাবন প্রজেক্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী এবং ব্যক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য পাঁচজন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানস্থলে গবেষণা উদ্ভাবন প্রজেক্টসমূহ উপস্থাপন করা হয়। ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর উৎপাদনমুখী, তারুণ্যমুখী বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উন্নয়নে মেধাবী ও অস্বচ্ছল মেধাবীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করছি। আমরা মেধাবীদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “এই বৃত্তি একাডেমিক এক্সিলেন্স বাড়াতে, গবেষণা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য এই বৃত্তি বড় রকমের সহযোগিতা করবে।”
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতামূলক প্রজেক্ট পাস করা হবে। সেখানে শিক্ষার্থীরা বেতন পাবেন। গবেষণা বাড়াতে বিভিন্ন সেল করা হয়েছে। এগুলো পুরোদমে চালু হলে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে এবং আরো বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া সম্ভব হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অনুমোদনকৃত ১০টি গবেষণা উদ্ভাবন প্রজেক্টগুলোর জন্য শিক্ষার্থী আবু মোহাম্মদ নুর, রতন আহমেদ, আরিফ হোসাইন, হাফিজুল ইসলাম, ফাতেমা খাতুন, তানভীর ইসলাম চৌধুরী, সাগর মিয়া, শাহাদত হোসাইন ভুইয়া, ইফতেখার শাকিরুল, নায়েসা ইয়াসমিন এ্যামি, আফরিনা শাহরিন শোভা, শাদ শাহরিয়ার ও তামান্না ইয়াসমিনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এছাড়া নিজস্ব উদ্ভাবনের জন্য এলইডি ষ্ট্যাম্পের জন্য তানভীর চৌধুরী ও তার টিম, ডিজিটাল স্কোরবোর্ডের জন্য আবির ও তার টিম, ক্যাফেটেরিয়া ডিজাইনের জন্য আব্দুল আল মামুন, সাদিয়া আফরিন, সৌরভ হুসাইন, ক্যালেন্ডার ডিজাইনের জন্য তৈয়বুর রহমান ও ঘাস কাটার মেশিনের জন্য নাজমুস সাকিবকে পুরস্কৃত করা হয়।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী