রিপাবলিকান মার্কিন সিনেটর মার্কওয়েইন মুলিন গতকাল রোববার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের সঙ্গে সে দেশে জন্ম নেওয়া তাঁদের শিশুদেরও বিতাড়িত করা উচিত।

দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের লক্ষ্যে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্তের কারণে তাঁর ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়ার পথ সুগম হয়েছে।

আরও পড়ুনজন্মসূত্রে নাগরিকত্বের ইতি টানতে চান ট্রাম্প, অন্যান্য দেশের কী অবস্থা১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনেটর মুলিন বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে তাঁদের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হলে শিশুদেরও বের করে দেওয়া উচিত।

আদালতের ওই আদেশে ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশটি বৈধ কি না, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। অথচ আদেশটি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের একটি নীতি বদলে যাবে। ওই নীতি অনুযায়ী, কোনো শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই সে দেশটির নাগরিকত্ব পাবে, হোক তার মা–বাবা অবৈধ বা বৈধ অভিবাসী।

এনবিসির ক্রিস্টেন ওয়েলকার মুলিনকে প্রশ্ন করেন, যেসব শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্মেছে, তারা বর্তমান আইনে মার্কিন নাগরিক। কিন্তু তাদের মা–বাবা যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হন, তাহলে ওই শিশুদের কী হবে?

আরও পড়ুনট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ ঠেকানোর ক্ষমতা কমল নিম্ন আদালতের২৭ জুন ২০২৫

জবাবে মুলিন বলেন, ‘মা–বাবা যেখানে থাকবেন, তাদেরও সেখানেই যাওয়া উচিত। আপনি কেনই–বা কোনো শিশুকে তার মা–বাবার কাছে পাঠাবেন না? আমি বলতে চাচ্ছি, কেন আপনি তাদের আলাদা করতে চাইবেন?’

শুক্রবার আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে অভিবাসী ও তাঁদের সমর্থকদের মনে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। কারণ, তাঁরা বুঝে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন। যদি কিছু অঙ্গরাজ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব কার্যকর থাকে, কিন্তু অন্যগুলোয় না থাকে, তবে বাস্তবে এর প্রভাব কী হবে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন২১ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ