গোবিপ্রবির বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা পাভেল আটক
Published: 30th, June 2025 GMT
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা পাভেল শিকদারকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রবিবার (২৯ জুন) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাভেল শিকদারের বিরুদ্ধে জুলাই ছাত্র আন্দোলনকারী এক ছাত্রকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া, আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া এবং আন্দোলনের খবর প্রকাশ করায় এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন:
ছাত্রশিবির ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে: রাকিব
শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের তাজিমের ‘চমকপ্রদ ঘূর্ণি’
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিস্তারিত জানতে ডিবির সঙ্গে যোগাযোগ করুন।”
তবে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বালুর মাঠ এলাকা থেকে আটক করেছি। তাকে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে।”
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক গ প লগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ মুজিব জাতির জনক নন, তবে তার ত্যাগ স্বীকার করি: নাহিদ
শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনক নন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির জনক নন। আমরা স্বাধীনতা অর্জনে তার ভূমিকা এবং ত্যাগ স্বীকার করি। কিন্তু তার শাসনামলের জাতীয় ট্রাজেডিকেও স্মরণ করি।”
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওই পোস্টে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি উপনিবেশ রাজ্যে পরিণত হয়। তার সময়েই ১৯৭২ সালে জনবিরোধী সংবিধান আরোপিত হয় এবং লুটপাট, রাজনৈতিক হত্যা ও একদলীয় বাকশাল একনায়কতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করা হয়।’
আরো পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
খুলনায় মহররমের নামে শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের চেষ্টা
এনসিপি প্রধান বলেন, “আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট রাজনীতির অন্তরালে মুজিব পূজা ও মুক্তিযুদ্ধ পূজা, একটি রাজনৈতিক মূর্তির পূজা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। অত্যাচার, লুটপাট করার পাশাপাশি নাগরিককে প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। এটি গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে আধুনিক জমিদারি ছাড়া কম কিছুই ছিল না। তবুও মুক্তিযুদ্ধ ছিল সকল মানুষের সংগ্রাম। কয়েক দশক ধরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে তার পৈতৃক সম্পত্তি, জবাবদিহিতাহীন শাসন এবং মুজিব নাম ব্যবহার করে দুর্নীতি ও দমনপীড়নকে ন্যায্যতা দিয়েছে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক দফার ঘোষক নাহিদ ইসলাম বলেন, “২০২৪ সালের জনগণের বিদ্রোহ এই জমিদারিদ্র্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কোনো ব্যক্তি, পরিবার, মতাদর্শকে আর কখনো নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিতে বা বাংলাদেশের ওপর ফ্যাসিবাদ আরোপ করতে দেওয়া হবে না। জাতির পিতা অভিধাটি ইতিহাসের কোনো অংশ নয়, বরং রাষ্ট্রকে সংকুচিত করে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট বানানোর হাতিয়ার। বাংলাদেশে সব নাগরিকের অধিকার সমান, আর কোনো একক ব্যক্তি এটির মালিকানা দাবি করতে পারবে না।”
তিনি আরো বলেন, “শেখ মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধ নামে মুজিববাদ একটি ফ্যাসিস্ট মতাদর্শ। আমাদের সংগ্রাম কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, ফ্যাসিস্ট আদর্শের বিরুদ্ধে। মুজিববাদ ফ্যাসিবাদ ও বিভাজনের একটি আদর্শ। এর মানে হল জোরপূর্বক গুম, হত্যা, ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করা। মুজিববাদ মানে-ইসলামোফোবিয়া, সাম্প্রদায়িকতা এবং সংখ্যালঘুদের ভূমি দখল। এর মানে-বিদেশি শক্তির কাছে জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিক্রি করা। ষোল বছর মুজিবকে রাজনৈতিকভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল অস্ত্র হিসেবে, আর মূর্তির আড়ালে ছড়িয়েছিল গুম, খুন, লুটপাট ও গণহত্যা।”
“মুজিববাদ একটি আস্ত বিপদের নাম। এটিকে পরাজিত করার জন্য রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সংগ্রাম সমনাগরিকদের একটি প্রজাতন্ত্র, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার, যেখানে কোনো দল, বংশ, নেতা জনগণের ওপরে দাঁড়ায় না। বাংলাদেশ কারো সম্পত্তি নয়, এটা গণপ্রজাতন্ত্র।”
ঢাকা/এসবি