সুনামগঞ্জে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি, লেহেঙ্গা, কসমেটিক্স এবং চকলেট জব্দ করেছে বিজিবি।

সোমবার (৩০ জুন) ভোরের দিকে সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।

সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

কুমিল্লায় এক বছরে ১১ কোটি টাকার মাদক জব্দ

মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ১৩

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরের দিকে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মালিকবিহীন অবস্থায় তারা ৪২৮৬ পিস ভারতীয় শাড়ি, ১৩ পিস লেহেঙ্গা, ৪৯৯২ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী ও ২০ হাজার ১২০ পিস চকলেট জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৭১ হাজার ৫২০ টাকা।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান হৃদয়, সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মো.

রফিকুল ইসলামসহ পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, সুনামগঞ্জের ৯০ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবি আগের চেয়ে অনেক বেশি তৎপর। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টাস্কফোর্সের অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত গুদাম থেকে ভারতীয় শাড়ির চালান জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৫ কোটি টাকা। গত এক মাসে বিজিবি সাড়ে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ

নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।

আরো পড়ুন:

ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু

মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক

কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।

এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ