সময় চলে যায়, কিন্তু কিছু কণ্ঠ থাকে উতরে যায় সময়কে। সে কণ্ঠ অক্ষয়, অমর। এমনই এক কণ্ঠের নাম সাবিনা ইয়াসমীন। দেশের গান মানেই যেনো তার কণ্ঠ। 

প্রজন্ম বদলেছে, সময় বদলেছে, কিন্তু গান নিয়ে সাবিনা ইয়াসমীনের ভালোবাসা আজও অটুট। চলতি বছর তিনি আবারও নিয়মিত হচ্ছেন নতুন গানে। স্টেজ শোর পাশাপাশি ফের স্টুডিওতে ফিরছেন হৃদয়ের গভীর থেকে গাওয়া সেই চেনা কণ্ঠে।

বাংলা গানের এই জীবন্ত কিংবদন্তি আবারও গাইলেন বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসার গান-‘প্রাণের বাংলাদেশ’। সোমবার এই দেশের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানটির কথা ও সুর করেছেন আরিফ হোসেন বাবু, সংগীতায়োজন করেছেন তরুণ সুরকার রোহান রাজ।

‘প্রাণের বাংলাদেশ’ গানটি খুব শিগগিরই প্রকাশ পেতে যাচ্ছে অরিন মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে। গানটি নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘গানটির কথাগুলো খুব আবেগজড়ানো। আধুনিক সংগীতের ছোঁয়ায় সাজানো এই দেশের গানটি গাইতে গিয়েও ভালো লেগেছে। রোহান ভালো সংগীত করেছে, গানটি শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে-এই বিশ্বাস আমার আছে।’

আরিফ হোসেন বাবুর কণ্ঠে ছিল স্বপ্নপূরণের আবেগ। বললেন, ‘সাবিনা আপার পাশে গান নিয়ে দাঁড়ানো-এটা আমার জীবনের এক পরম সৌভাগ্য। তাঁর কণ্ঠে আমার লেখা গান মানে, আমার স্বপ্ন বাস্তব রূপ পেয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ, গর্বিত।’

সংগীত পরিচালক রোহান রাজের কণ্ঠেও ধরা পড়ল মুগ্ধতা ও গভীর অনুরাগ,‘যাদের গান শুনে আমি বড় হয়েছি, তাঁদের একজনের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। সাবিনা আপা শুধু লিজেন্ড নন, তিনি আমাদের প্রেরণাও। তাঁর মতো একজন কিংবদন্তি শিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে পারাটা ছিল স্বপ্নের মতো।’

এর আগে সাবিনা ইয়াসমীনের সর্বশেষ গান ছিল 'আমার পতাকা লাল সবুজে আঁকা'-যেখানে তাঁর সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে ছিলেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। সে গানটির কথা লিখেছেন মনিরুজ্জামান মনির, সুর ও সংগীতায়োজন করেছিলেন মনোয়ার হোসাইন টুটুল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নত ন গ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।

দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।

আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।

স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • ‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
  • ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯