সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসায়ী ও তার দুই ছেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩
Published: 30th, June 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ী ও তার দুই ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু মারধরই নয়, হামলাকারীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছে।
আহতরা হলেন ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন (৫৫), তার বড় ছেলে আ.
রোববার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এনায়েতনগর এলাকায় তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত কামাল হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এনায়েতনগর এলাকায় একটি ওষুধের দোকান পরিচালনা করছেন। এলাকায় কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করতেন।
এ কারণেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। তিনি বলেন, "ঘটনার রাতে দোকান বন্ধ করে ছেলে ও এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ হেলাল, আমান, বাবু, কাউসার, মারুফসহ আরও ১০-১২ জন আমাদের পথরোধ করে।
তিনি অভিযোগ করেন, ওরা আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। বাধা দিলে তারা হাতে থাকা লোহার রড, রামদা, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আমার মাথায় কোপ মারে, বাম হাত ভেঙে যায়।
বড় ছেলে সালাম বাঁচাতে আসলে তাকেও চাপাতি ও হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। অমিতকে মারধরের পাশাপাশি আমাদের তিনটি দামি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
হামলার সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায় ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
পরবর্তীতে আহতদের স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে কামাল হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, হামলাকারীরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা খোলা দিবালোকে এমন নৃশংস হামলা চালিয়ে পুরো এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। বর্তমানে আহতদের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। যে কোনো সময় পুনরায় হামলার আশঙ্কা করছেন তারা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে বাকি জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ এল ক য় ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ২০
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিংপাড়া-নওয়াপাড়া ও হাঁসাড়া ব্রিজ-২ এর মধ্যবর্তী স্থানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
শনিবার (২৮ জুন) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকামুখী একটি চলন্ত ট্রাকের পেছনে দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে উভয়ই বাহনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের মাঝখানে থাকা সড়কদ্বীপের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, যশোর থেকে ঢাকাগামী নাইট কোচ ‘হামদান এক্সপ্রেস’ চলমান একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে। প্রথম ধাক্কায় বাস ও ট্রাক দুটোই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানের সড়ক দ্বীপের রেলিংয়ে আলাদাভাবে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আরও দুইজন।
নিহতরা হলেন- যশোরের জালাল উদ্দিন (৬৫), ও জিল্লুর রহমান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাসের যাত্রী ডা. আব্দুল হালিম ও ট্রাকের হেলপার হাসিব। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাসানরা হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে। বাসের মালিক পালিয়েছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/রতন/এস