সিদ্ধিরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ী ও তার দুই ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু মারধরই নয়, হামলাকারীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছে।

আহতরা হলেন ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন (৫৫), তার বড় ছেলে আ.

সালাম (৩৪) ও ছোট ছেলে অমিত হাসান (২৭)। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় আ. সালাম নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রোববার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এনায়েতনগর এলাকায় তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত কামাল হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এনায়েতনগর এলাকায় একটি ওষুধের দোকান পরিচালনা করছেন। এলাকায় কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করতেন।

এ কারণেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। তিনি বলেন, "ঘটনার রাতে দোকান বন্ধ করে ছেলে ও এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ হেলাল, আমান, বাবু, কাউসার, মারুফসহ আরও ১০-১২ জন আমাদের পথরোধ করে।

তিনি অভিযোগ করেন, ওরা আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। বাধা দিলে তারা হাতে থাকা লোহার রড, রামদা, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আমার মাথায় কোপ মারে, বাম হাত ভেঙে যায়।

বড় ছেলে সালাম বাঁচাতে আসলে তাকেও চাপাতি ও হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। অমিতকে মারধরের পাশাপাশি আমাদের তিনটি দামি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

হামলার সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায় ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।

পরবর্তীতে আহতদের স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে কামাল হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, হামলাকারীরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা খোলা দিবালোকে এমন নৃশংস হামলা চালিয়ে পুরো এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। বর্তমানে আহতদের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। যে কোনো সময় পুনরায় হামলার আশঙ্কা করছেন তারা।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে বাকি জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ এল ক য় ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হ‌বে: মাওলানা ইমতিয়াজ

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দি‌তে সরকা‌রের প্রতি আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।

তি‌নি ব‌লে‌ছেন, “আইনী ভি‌ত্তি না থাক‌লে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা ব‌লেন।

জুলাই সন‌দের ভি‌ত্তি নি‌য়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম ব‌লেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান কর‌তে হ‌বে।”

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য ক‌রে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হ‌বে: মাওলানা ইমতিয়াজ
  • ফেনীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস দোকানে, নিহত ৩
  • চেন্নাইয়ে থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টে  দুর্ঘটনায় ৯ শ্রমিক নিহত
  • পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদর দপ্তরের কাছে বিস্ফোরণ, নিহত ১০