র‌্যালি, আলোচনা সভা, শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) জুলাই বিপ্লব উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় যবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে র‌্যালির মধ্য দিয়ে জুলাই বিপ্লব উদ্যাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক হয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে যবিপ্রবির অধ্যাপক ড.

মো. শরীফ হোসেন গ্যালারিতে শুরু হয় ‘জুলাই বিপ্লব এবং নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠান।

আরো পড়ুন:

নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত কুবি

‘রাজনীতি মুক্ত থাকবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হল’

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন। তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং যারা অসুস্থ আছে তাদের আশু সুস্থতা কামনা করছি। জুলাই যোদ্ধাদের কথা স্মরণ করলেই নতুন বাংলাদেশ গড়ার অনুপ্রেরণা পাই। অনেক সংগ্রাম ও ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাদের এই ঋণ কখনোই শোধ করা সম্ভব নয়।”

তিনি আরো বলেন, “যদি আমরা সবাই একতাবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে এই দেশকে আদর্শ দেশ হিসেবে গড়তে পারি, তাহলেই তাদের এই আত্মত্যাগ সফল হবে। বৈষম্যহীন ও শোষণহীন দেশ গড়াই হোক আমাদের নতুন দিনের অঙ্গীকার।”

আলোচনা সভা শেষে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহত বীরদের আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া-মোনাজাত করা হয়।

এছাড়াও যবিপ্রবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৩৬ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান থাকবে। 

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন যবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাফিউল হাসান।

অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবের তাৎপর্য তুলে ধরে আরও বক্তব্য রাখেন, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম, মডার্ন ফিস হ্যাচারী অ্যান্ড ওয়েট ল্যাবের ল্যাব টেকনিশিয়ান মো. জামাদুল ইসলাম জিম, যবিপ্রবির সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. ওয়াশিম আকরাম, দপ্তর সম্পাদক মো. মোতালেব হোসাইন প্রমুখ।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং প্রভাষক মো. শাহানুর রহমান শুভর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: আখতার

জাতীয় পার্টিকে ‘দলদাস ও দালাল’ উল্লেখ করে দলটির বিরুদ্ধে রংপুরের মানুষকে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রংপুর নগরের ডিসি মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আখতার হোসেন এ আহ্বান জানান। এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র আজকের কর্মসূচি শেষ হয়।

আজ সকালে এই গণপদযাত্রা শুরু করেছে এনসিপি। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর পদযাত্রা যায় গাইবান্ধায়। পরে এনসিপির নেতারা রংপুরে ফিরে আসেন।

রংপুরের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আখতার হোসেন বলেন, ‘একটি দল আছে, যে দল বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে সবচেয়ে নগ্নভাবে ভূমিকা পালন করেছে। সেই গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি রংপুরে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা করছে। তারা আমাদের ভাইদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা রংপুরের মাটি থেকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই, অবিলম্বে জাতীয় পার্টির গুন্ডা ও দালাল কর্তৃক আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে, সেই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’

রাত সাড়ে আটটার দিকে ডিসি মোড়ের এ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন দলের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

সমাপনী বক্তব্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা আগামীকাল কুড়িগ্রাম যাব এবং ধারাবাহিকভাবে দেশের ৬৪ জেলা অতিক্রম করে আগস্টে ঢাকায় ঢুকব। ঢাকায় ঢুকে আমরা আমাদের যে লক্ষ্য, জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ, আমরা আদায় করে নেব ইনশা আল্লাহ।’

বুধবার পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে এনসিপি নেতারা কুড়িগ্রামে যাবেন। সেখানে কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভ চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে ঘোষপাড়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলকে এসে পথসভা করবে। এরপর ফুলবাড়ী উপজেলায় আরেকটি পথসভায় অংশ নিয়ে লালমনিরহাটের উদ্দেশে যাত্রা করবে পদযাত্রা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ