সিদ্ধিরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যালয় উদ্বোধন
Published: 1st, July 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি: নং (৪১৮৪) সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর সাবেক প্রধান উপদেষ্টা সভাপতি, মোসলেহ উদ্দিন সেলিম অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো রোডের গ্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে এ কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
দোয়া মোনাজাতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে মো: বাচ্চু, মো: রাতুল, আমির হামজা, মো: রুবেল, রিনাত, টিপু এ-র আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে ট্রাক চালক, হেলপার, বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিকবৃন্দ সহ এলাকার তরুণ যুবক ও স্থানীয় গান্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মোসলেহ উদ্দিন সেলিম এলাকাবাসীর সকলের ভালোবাসা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন আমরা সকলে মিলেমিশে কাধে কাধ রেখে মাদক, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস মুক্ত সুন্দর একটি সমাজ গড়ার লক্ষে কাজ করবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙা সড়ক মেরামতে ৫০০ কোটি টাকা চান চসিক মেয়র
এক বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে ভেঙেছে ৩৮৮ সড়ক। আবার অরক্ষিত নালা-নর্দমা ও খালে পড়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এখন এসব ভাঙা সড়ক সংস্কার ও নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক বরাদ্দ চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন।
সিটি করপোরেশনের আর্থিক সংকটের কারণে এ অর্থ বরাদ্দ দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে গত মঙ্গলবার চিঠি দেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। তবে আর্থিক বরাদ্দ চাইলেও তা পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা এর আগে সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য অপসারণে যন্ত্রপাতি কেনার প্রকল্প অনুমোদনসহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ চাইলেও তা মেলেনি বলে খোদ মেয়রই অভিযোগ করেছিলেন।
চট্টগ্রাম নগরে পাঁচ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি রাস্তাঘাট ভেঙে বেহাল হয়েছে। ৩৮৮টি সড়কের ১৪২ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর ভেঙেছিল ১০০ কিলোমিটার। ২০২৩ সালে ৫০ কিলোমিটার, ২০২২ সালে ১০০ কিলোমিটার ও ২০২১ সালে ৩৬ কিলোমিটার সড়ক নষ্ট হয়েছিল।
গত ছয় বছরে অরক্ষিত খাল ও নালায় পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৫ সালে দুজন, ২০২৪ সালে তিনজন, ২০২৩ সালে তিনজন, ২০২১ সালে পাঁচজন ও ২০২০ সালে দুজনের প্রাণহানি হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ জুলাই হালিশহরের আনন্দপুর এলাকায় তিন বছর বয়সী হুমায়রার মৃত্যু হয় মায়ের কর্মস্থলের পাশের নালায় পড়ে। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল নগরের কাপাসগোলায় হিজড়া খালে রিকশা উল্টে পড়ে গেলে মায়ের কোল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ছয় মাসের শিশু আনাবিয়া মেহেরিন সেহরীশের।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের ভাঙা সড়ক, নালার ঝুঁকিপূর্ণ স্ল্যাব এবং অরক্ষিত নালা ও খালের তালিকা করেছে। তালিকা অনুযায়ী ১৪২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে প্রয়োজন হবে ৪২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ১৮ হাজার ৬৬৩ বর্গমিটার স্ল্যাব ঠিক করতে লাগবে ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অরক্ষিত নালা ও খালে নিরাপত্তাবেষ্টনী দিতে হবে ২১ কিলোমিটার। এতে খরচ হবে ২১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
সড়কে সৃষ্ট বড় গর্তে জমে আছে পানি। গাড়ি চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন চালকেরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট এলাকায়