‎বাহারি চুলের ফুটবলকন্যা মাঠে আরও রঙিন। তার পায়ের ফুটবলশৈলীতে শুধুই ছড়ায় মুগ্ধতা। অসাধারণ ড্রিবলিংয়ের সঙ্গে চোখ ধাঁধানো ফ্রি কিক; ঋতুপর্ণা চাকমা যেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলের পোস্টার গার্ল।

বুধবার ইয়াঙ্গুনের থুওয়ান্না স্টেডিয়ামে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সে ইতিহাস লিখেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে ২০২৬ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু জায়গা করে নেওয়াই নয়, ২০১৮ সালের সেই বড় হারের বদলাও নিয়েছে মেয়েরা।

শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই স্টেডিয়ামে উৎসবের আমেজ। জয়টা যখন এতো গুরুত্বপূর্ণ, তখন উচ্ছ্বাস থামিয়ে রাখা কঠিন। কিন্তু ঋতুপর্ণা বললেন, আসল উদযাপনটা বাকি ম্যাচ জেতার পরই করবেন। ‘বাংলাদেশে আমরা সারা বছর কষ্ট করে অনুশীলন করি, তাই লক্ষ্য ছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে কোয়ালিফাই করা। এখনো একটি ম্যাচ বাকি আছে। সেখানে ভালো ফল এলে অবশ্যই আমরা উদযাপন করবো।’

২০২২ সালটা ছিল ঋতুপর্ণার জন্য কষ্টের। আদরের ছোট ভাই পার্বন চাকমার মৃত্যুতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবু মাঠে ফিরে এসেছেন মনোবল নিয়ে। সিনিয়র সাফের শিরোপা জয়ের পর যেমন প্রতিটি সাফল্যে ভাইয়ের স্মৃতি টেনেছেন, এবারো সেই প্রেরণাই হয়তো ভর করেছে তাকে।

বাংলাদেশ নারী দলের ইংলিশ কোচ পিটার জেমস বাটলার কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেন, ‘ঋতুপর্ণার আরও উচ্চমানের লীগে খেলা উচিত। সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা অন্য কোথাও ওর খেলার সামর্থ্য আছে। সে সাহসী, পরিশ্রমী, এবং এখনো তরুণ। সামনে তার জন্য অনেক সম্ভাবনার দরজা খোলা।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ