জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতির জন্য আবেদন করতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের কক্ষ থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক ছাত্রলীগ নেতার নাম শরিফুল ইসলাম সাজিদ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিভাগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সাজিদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা সদরের ব্যাংকপাড়া এলাকায়।

জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ওই নেতা বিভাগে ‘রিটেক’ পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন। এ সময় ছাত্রদলের নেতারা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাঁকে আটক করেন। তখন তাঁর সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের ধস্তাধস্তি হয়।

ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সাজিদ। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘সাজিদ ইসলাম’ নামের একটি আইডি থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘কাল থেকে একদল তরুণের প্রবেশ হবে, যাঁদের হারানোর কিছুই নেই; না একটা গোছানো রুম, না সম্মান, না বন্ধু, না কোনো আপনজন, না সার্টিফিকেট। কিছুই নেই, নেই ভয়, নেই লজ্জা, নেই আবেগ, নেই দরদ। তাঁরা হবে নির্ভীক, তাঁরা হবে ভয়ংকর সুন্দর!!!’

তবে এই পোস্ট সম্পর্কে সাজিদ বলেন, ‘আইডিটি আমার নয়। আমি এমন কোনো পোস্ট করিনি। আমি এসেছিলাম রিটেক পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান খান বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে তারা আমাদের ওপর নির্মম জুলুম-নির্যাতন করেছে। আমাদের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। তার উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ছাত্রদলের কিছু নেতা–কর্মী অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ছাত্রলীগের সেক্রেটারিকে ধরে আমাদের প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা থাকায় আমরা তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।’

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে মামলা হয়েছে কি না, তা খোঁজ করে দেখতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

জবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে রিটেক পরীক্ষার আবেদন করতে আসলে তাকে আটক করা হয়।

আটক ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সাজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং একই বিভাগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের ব্যাংকপাড়া এলাকায়।

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবির নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা পাভেল আটক

ছাত্রশিবির ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে: রাকিব

জানা গেছে, সাজিদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি মামলায় জামিনে মুক্ত হন তিনি। ছাত্রদলের দাবি, তার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা রয়েছে।

ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসান সজীব বলেন, “আমরা খবর পাই, সে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে। পরে তাকে ধরতে গেলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। সাজিদ নিষিদ্ধ নেতা হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে।”

আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, “ফ্যাসিস্ট সময়ে তারা আমাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের আন্ডারগ্রাউন্ডে আটকে রেখে মারধর করা হত। এখন তার উপযুক্ত বিচার চাই।”

একজন উপস্থিত সাংবাদিক বলেন, “গত বছর সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সাজিদ জড়িত ছিল। আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম এবং সেই ঘটনার ভিডিও আমার কাছে রয়েছে।”

ছাত্রদলের দাবি, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। তারা জানান, ‘সাজিদ ইসলাম’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে এক উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টে বলা হয়, “কাল থেকে একদল তরুণের প্রবেশ হবে যাদের হারানোর কিছুই নেই…তারা হবে নির্ভীক, তারা হবে ভয়ংকর সুন্দর!”

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাজিদ বলেন, “ফেসবুক আইডিটি আমার নয়। আমি কোনো উসকানিমূলক পোস্ট করিনি। আগামীকাল আমার বিয়ে, তাই আজ রিটেক পরীক্ষার আবেদন করতে এসেছি।”

এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নানাভাবে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা ছাত্রদল সবসময় সজাগ ও সচেতন। কোনো ফ্যাসিস্ট অপতৎপরতাকে আমরা কখনোই প্রশ্রয় দেই না। আটক ছাত্রলীগকে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছি এবং আমাদের দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সাধারণ সম্পাদককে ধরে নিয়ে আমাদের প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা থাকায় আমরা তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।”

তবে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রদল