জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে যুক্ত করতেই হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের নাকি কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি থাকবে না। আমরা স্পষ্ট বলছি, এই ঘোষণাপত্রে জুলাইযোদ্ধা, গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের মর্যাদা, স্বীকৃতি ও রাজনৈতিক নিরাপত্তার কথা থাকতে হবে। সেটি অবশ্যই বাংলাদেশের নতুন সংবিধানে যুক্ত হবে।

জুলাই পদযাত্রার চতুর্থ দিনে শুক্রবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে সমাবেশ হবে। সেখানে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমাদের প্রাপ্য বুঝে নেব।

নাহিদ ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের কাঠামো রেখে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই আগের সিন্ডিকেট, আগের দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের সেফ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এসব বিলোপ করে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো, গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন দেশ গড়তে আমরা রাস্তায় নেমেছি। অর্জনগুলো নিয়েই ঘরে ফিরব।

ঠাকুরগাঁও ও পীরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, পুরোনো বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে দুপুর ও বিকেলে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় পথসভায় বক্তৃতা করেন এনসিপির নেতারা। এ সময় জনগণের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনারা ছাত্র-তরুণদের ওপর ভরসা রাখুন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের রাষ্ট্র কাঠামো আমরা পরিবর্তন করবই। তিনি সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশি হত্যা ও পুশইন বন্ধে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে পদযাত্রা পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলায় দু’জন আহতের দাবি করেছে এনসিপি।

পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, জেলার আটোয়ারী সদরে এনসিপির উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তিনি ইনসাফের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

কর্মসূচিগুলোতে বক্তৃতা করেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.

তাসনিম জারা প্রমুখ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম ন হ দ ইসল ম এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ