চট্টগ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী মারা গেছেন। আজ রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে নগরের ইপিজেড থানার মাইলের মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের নাম আতাউর রহমান (১৯)। তিনি নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীতে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর বন্ধু সাফায়েত ইসলাম (১৯)। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ইপিজেড থানার উপপরিদর্শক মামুনুর রশিদ জানান, সাফায়েত মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন। পেছনে বসেছিলেন আতাউর। তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনই পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই আতাউর মারা যান।

দুর্ঘটনার পরপর সিএনজি অটোরিকশাটি পালিয়ে যায়। আতাউরের মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এদিকে ইপিজেড থানাধীন নেভি গেট এলাকায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অপর একটি দুর্ঘটনায় ওসমান (৪৫) নামের একজন হকার আহত হয়েছেন। তাঁকে একটি ট্রেলার ধাক্কা দেয় বলে জানান ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জমির উদ্দিন। ওসমানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নৌকায় বসিয়ে নদীতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি

চার বছর বয়সী মেয়ে রুসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন মাসুম আল মামুন (৪২)। নদীর ধারে বেঁধে রাখা নৌকায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে পানিতে ডুব দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাবাকে উঠতে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানায় রুসফিয়া। পরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে মাসুমের লাশ।

রোববার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকাসংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাসুম আল মামুনের বাড়ি আহমদনগর এলাকায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।

নিহত মাসুম আল মামুনের মামাতো ভাই জাফর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে নেমে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে বিকেল ছয়টার দিকে পানির নিচে মাসুমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন মাসুমের হৃদ্‌রোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা নিখোঁজ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে নদীতে নামি। এ সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও নদীতে নেমেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করেই স্থানীয় একজনের পায়ে মানুষের শরীরের মতো কিছু একটা লাগে। পরে সেখান থেকে মাসুম আল মামুনের লাশ খুঁজে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ