বগুড়ায় গৃহবধূকে হত্যার মামলায় স্বামী ও পরকীয়া প্রেমিকা গ্রেপ্তার
Published: 10th, July 2025 GMT
বগুড়ায় গৃহবধূ ববি খাতুনকে হত্যার মামলায় স্বামী ও তার পরকীয়া প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (৯ জুলাই) রাতে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প এবং র্যাব-৪ সাভার ক্যাম্প যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন—বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে মো.
বৃহস্পতিবার র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম আবুল হাশেম সবুজ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৫ মে রাতে বগুড়ার জহুরুল নগরে গৃহবধূ ববি খাতুনকে শারীরিক নির্যাতনের পর পেটে ছুরি মেরে হত্যা করে তার স্বামী রোহান। এরপর থেকেই রোহান ও তার পরকীয়া প্রেমিকা বেলি বেগম পলাতক ছিল। হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহতের মা বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ জানিয়েছেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার বসুন্ধরা টেক এলাকা থেকে মো. রোহান ও বেলি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদেরকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/এনাম/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকের ওপর হামলা, জবি ছাত্রদল নেতা মাহমুদুলের পদ স্থগিত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) তিন নেতার ওপর হামলার ঘটনায় জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের সাংগঠনিক পদ এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি মর্যাদার) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের সাংগঠনিক পদ আগামী ১ মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদের গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর করেন তারা। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।