ভাই-বোনের ভালোবাসার মানবিক আখ্যান ‘আলী’
Published: 11th, July 2025 GMT
পাহাড়ের কোলে বেড়ে ওঠা দুই ভাই-বোন আলী ও রশ্মির বিয়োগান্তুক অথচ অনুপ্রেরণামূলক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘আলী’ চলচ্চিত্র। বিপ্লব হায়দার পরিচালিত এই সিনেমায় ভাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ এবং রশ্মির চরিত্রে আছেন প্রতিজ্ঞা। তাদের সঙ্গে আরো অনেক তারকা শিল্পী এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
রশ্মি স্বপ্ন দেখে ঢাকায় পড়াশোনা করে স্বাবলম্বী হওয়ার। কিন্তু তার ভাই আলী চায় না শহরের অনিরাপদ পরিবেশে তার বোন পা রাখুক। এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এই দুই আত্মার আত্মীয়। বাকপ্রতিবন্ধী আলী এরপর বেঁচে থাকার এক কঠিন সংগ্রামে নামে। নির্যাতন, নিঃসঙ্গতা, অবিচার আর ঘৃণার মাঝেও সে হার মানে না। অন্যদিকে, রশ্মিও ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করে, তাকে খোঁজে এবং তার জন্য লড়াই করে চলে। এই চলচ্চিত্রে ভাই-বোনের অন্যরকম এক ভালোবাসার গল্প তুলে ধরেছেন, যেখানে শব্দের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে ওঠে মানবিক সম্পর্ক।
নির্মাতা বিপ্লব হায়দারের যাত্রা শুরু হয়েছিল সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসেবে। ছোট পর্দা থেকে তিনি বড় পর্দায় এসেছেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভয়াল’ মুক্তির পর এটি তার দ্বিতীয় কাজ। খুব শিগগির চলচ্চিত্রটি বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে।
আরো পড়ুন:
আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুঞ্জনে যা বললেন তার পুত্র
স্ত্রীকে কেন ‘নিষ্ঠুর’ বললেন রাজকুমার?
চলচ্চিত্রটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। তিনি বলেন, “এই সিনেমা আমার ক্যারিয়ারের সেরা কাজ হতে যাচ্ছে। ভাই-বোনের ভালোবাসার এ এক অন্যরকম গল্প। আমরা সবাই অনেক চেষ্টা করেছি। কাজটি নিয়েও অনেক আশাবাদী। আশা করি, দর্শক আমাদের কাজটি অনেক পছন্দ করবেন।”
ঈদুল আজহায় ‘আলী’ সিনেমা মুক্তির পরিকল্পনা করেছিলেন নির্মাতা বিপ্লব হায়দার। শেষ মুহূর্তে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। তবে চলতি মাসে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। ১৮ জুলাই সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে ‘আলী’।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, অগ্নিস
সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন দুই ইউনিভার্সিটির অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর চালানো হয়। দেওয়া হয় আগুন। তবে এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো প্রকার সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলর সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুথু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। এ নিয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০–৫০ জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। আগুন দেওয়া হয় তাদের হোস্টেলে।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন।
একপর্যায়ে রাত ১২টার পর ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় তারা প্রশাসনিক ভবনেও হামলা করে। পুড়িয়ে ফেলা হয় তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেটকার। ভাঙচুর চালানো হয় আরো পাঁচ যানবাহনে। ভোররাতে ফোটানো হয় ককটেল। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
ভোর সাড়ে ৪টার সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু জায়গায় আগুন দেখা গেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। উত্তেজনার এক পর্যায়ে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
সাভার থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, “আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”