চা দিতে দেরি হওয়ায় বাগ্বিতণ্ডা, রেস্তোরাঁর কর্মীকে ছুরি মেরে হত্যা
Published: 13th, July 2025 GMT
সিলেটে একটি রেস্তোরাঁয় চা দিতে দেওয়ায় হওয়ায় এক যুবকের সঙ্গে রেস্তোরাঁর কর্মচারীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ওই ঘটনার জেরে রেস্তোরাঁর ওই কর্মচারীকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে সিলেট নগরের কাজির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দিনার আহমেদ ওরফে রুমন (২২) কাজির বাজার এলাকার নিরঞ্জন ঘোষের রেস্তোরাঁর কর্মচারী ছিলেন। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জালালপুরের সব্দলপুর গ্রামের মৃত তখলিছ আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে সিলেট নগরের কাজির বাজার মাছের আড়ত–সংলগ্ন এলাকায় ওই রেস্তোরাঁয় এক যুবক চা পান করতে আসেন। চা দিতে দেরি হওয়ায় রেস্তোরাঁর কর্মচারী দিনারের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রেস্তোরাঁর মালিক ও লোকজন দুজনের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে দেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে ওই যুবক রেস্তোরাঁ থেকে চলে যান। কিছু সময় পর ওই যুবক আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রেস্তোরাঁয় যান। এ সময় রেস্তোরাঁর ভেতর রুমনকে ছুরিকাঘাত করে তাঁরা পালিয়ে যান। পরে রেস্তোরাঁর মালিক নিরঞ্জন ঘোষসহ লোকজন দিনারকে উদ্ধার করে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই রেজু আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিনার প্রায় আড়াই বছর ধরে কাজির বাজার এলাকার নিরঞ্জন ঘোষের রেস্তোরাঁয় কাজ করছে। কথা–কাটাকাটির জেরে তাঁকে ছুরে মেরে হত্যা করা হয়েছে। আমি ভাইকে হত্যার বিচার চাই।’
সিলেটের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মুয়াজ্জিনকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন (খাদিম) আব্দুল লতিফকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২০ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পরে মসজিদের ভেতর ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার জোহরের নামাজের পর মুয়াজ্জিন আব্দুল লতিফ মসজিদের দরজা লাগাচ্ছিলেন। এ সময় মসজিদের ভেতরে উপস্থিত বিএনপি নেতা জয়নাল চৌধুরী দরজা লাগানোর শব্দে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “শব্দ হলো কেন?”, এরপর তিনি মুয়াজ্জিনের ওপর চড়াও হন।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই
হাসিনাবিহীন দেশ ঠিকমতো চলছে না দেখাতে ষড়যন্ত্র চলছে: রিজভী
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জয়নাল চৌধুরী কোনো কথা না শুনেই মুয়াজ্জিন আব্দুল লতিফকে ধমক ও মারধর করেন। এ ঘটনায় মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এশার নামাজের পর উপস্থিত মুসল্লিরা প্রতিবাদ জানালে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও স্থানীয় মুসল্লিদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদকারীরা অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্থানীয় মুসল্লিদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে অভিযুক্ত জয়নাল চৌধুরীকে পুলিশ হেফাজতে নিচ্ছে। পুলিশ বিএনপি নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে।
ভুক্তভোগী মুয়াজ্জিন আব্দুল লতিফ বলেন, “আমি প্রতিদিনের মতো নামাজ শেষে দরজা লাগাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে জয়নাল সাহেব এসে রেগে গিয়ে আমাকে ধমক দেন। আমি কিছু বলার আগেই, তিনি আমার গায়ে হাত তোলেন। আমি ১৫ বছর ধরে এই মসজিদে সেবা করছি, কখনো এমন আচরণ পাইনি। আমি আল্লাহর ঘরে অপমানিত হয়েছি— এটা খুব কষ্টের।”
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন, আবার সংশোধন করবেন বলে গিয়েছেন। এখনো আসেননি। পুলিশ কাউকে হেফাজতে নেয়নি।
ঢাকা/আজিজ/মাসুদ