নাসিক ও রেলওয়ের সমঝোতা স্মারকের নিন্দা
Published: 22nd, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও রেলওয়ের মধ্যে ১৪ ফুট রাস্তা নিয়ে সমঝোতা স্মারকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নাগরিক আন্দোলনের আহবায়ক রফিউর রাব্বি এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে উল্লেখ করছি যে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (Memorandum of Understanding (MOU)) এর কপি সম্প্রতি আমাদের হস্তগত হয়েছে।
এই স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল। এই সমঝোতা স্মারকে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মিতব্য কদমরসুল সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় রেলওয়ের জায়গার বিনিময়ে রেলওয়েকে ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্পের জন্য শহরের এক নং রেলগেট থেকে দুই নং রেলগেট পর্যন্ত (সোহরাওয়ার্দী সড়ক) সড়কে ১৪ ফুট রাস্তা (যা রেললাইন থেকে দক্ষিণে সড়কে অবস্থিত) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন রেলওয়েকে দিবে।
রেলস্টেশন, নদীবন্দর, বাসটার্মিনালে যাওয়ার জন্য সোহরাওয়ার্দী সড়কই একমাত্র সড়ক। দেশের বৃহত্তর রঙ-সূতা বাজার টানবাজারে যাওয়ার এইটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড় বন্দর যাতায়াতের জন্য এইটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
এতকিছুর পরেও এমনি জনবিরোধী সিদ্ধান্ত কোন সংস্থা নিতে পারে বলে আমরা মনে করি না। এইটি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি।
এমনিতেই কদমরসুল সেতুর পশ্চিমাংশের র্যাম্প (নামার মুখ) নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে হলে ভয়াবহ দুর্ভোগ তৈরি হবে বলে নারায়ণগঞ্জের সচেতন নাগরিক মনে করছে। উপরন্তু এই সোহরাওয়ার্দী সড়ক ১৪ ফুট সংকুচিত হলে পুরো শহরই অচল হয়ে পড়বে। এখনই সোহরাওয়ার্দী সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ লেগে আছে।
ঢাকাগামী বাস রাস্তার দক্ষিণপাশে রেখে রাস্তাকে সংকুচিত করে ফেলেছে। এর মধ্যে এ সড়ক আরও ১৪ ফুট সংকুচিত হলে তা হয়ে উঠবে ওয়ানওয়ে সড়ক। আমরা জানিনা এমনি জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কী ভাবে জনগণের মতামত না নিয়ে, মতামতকে তোয়াক্কা না করে সিটি কর্পোরেশন গ্রহণ করেছে।
আমরা এই সমঝোতা স্মারকের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, জনগণকে না জানিয়ে অপরিকল্পিত, জনস্বার্থ বিরোধী এ সকল প্রকল্প নারায়ণগঞ্জবাসী কখনো মেনে নেবে না এবং হতে দেবে না।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র লওয় র র জন য ১৪ ফ ট স ম রক সমঝ ত
এছাড়াও পড়ুন:
যাদের টাকা নিয়েছেন, তাদের ফেরত দেন : মাকসুদ চেয়ারম্যানকে সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ১৫টি বছর বন্দরের মানুষ ভালো ছিল না কারণ এখানে অপশাসন চলেছিল।
এই বন্দরে চলত ওই সেলিম ওসমানের শাসন তিনি এই বন্দরকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিলেন। আর তার কিছু সর্দার মানে লাঠিয়াল ছিল তাদেরকে ব্যবহার করে তিনি জনগণের সম্পদ লুট করেছিলেন।
আর বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সেলিম ওসমানের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। মুসাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন কিন্তু সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের অন্যতম দোসর ছিলেন। মুসাপুরে এমন কোন অপকর্ম নাই যা তিনি করেন নাই।
জুলাই বিপ্লবের আন্দোলন যারা করেছে তারা কিন্তু কোন কিছুই করে নাই। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি ৫ই আগস্টের পরই ওই স্বৈরাচারের দোসর মাকসুদ হোসেন ও তার ছেলের নেতৃত্বে জনগণের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আর যাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল চারটায় মুছাপুর ইউনিয়নের হরিবাড়ি এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, মাকসুদ চেয়ারম্যান এখন আবার নির্বাচন করতে চায় এমপি হওয়ার সাধ জাগছে। শেখ হাসিনা ও সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসর তাকে বাংলার মাটি তথা বন্দরের মাটিতে কোন স্থান নাই। তাদের স্থান হবে ওই জেলখানায়।
স্বৈরাচারের দোসরা যারা চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছে তাদেরকে আর ছাড় নাই তাদের স্থান হবে ওই জেলখানায়। মাকসুদের বিরুদ্ধে কিন্তু অনেক বৈষম্য বিরোধী মামলা রয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম শান্ত থাকেন।
আপনার যে সাধ জেগেছে সেটা এই বন্দরের মানুষ আপনাকে করতে দিবে না। শুধু তাই না আমরা জানতে পেরেছি এই মাকসুদ এই বন্দর মানুষকে গ্যাসের কথা বলে বেড়িয়েছে এবং অনেক কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েছেন।
অনেকেই আমাদের কাছে এই বিষয়ে বলেছে আমরা বলতে চাই যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেন। অন্যথায় আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকব।
ইনশাল্লাহ আমাদের সরকার বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমরা এই বন্দরের বঞ্চিত জনগণকে গ্যাসের ব্যবস্থা করে দিবো। আর এই গ্যাসের জন্য কোন জনপ্রতিনিধিকে আপনারা কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না।
মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়ার সভাপতিত্বে এবংনারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন, সদস্য হুমায়ূন কবির।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রহিম, বিএনপি নেতা অনিক আহম্মেদ, মোশারফ হোসেন, খোরশেদ আলম, মাকসুদ হোসেন, নুর আলম, বিল্লাল হোসেন, পানা উল্লাহ, নিজাম হোসেন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানস, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবন্দ।