দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের দুই নেতাকে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সংগঠন থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুজন হলেন, নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য  রিপন মিয়া ও ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব সোলাইমান হকের উপস্থিতিতে জরুরি সভা করে সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া অন্য দুই ব্যক্তি বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে সতর্ক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, নাজিরপুরের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা খোকন মিয়া ও বিপুল মিয়া।

যুবদল সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর যুবদলের দুই নেতা– রিপন ও জাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিকভাবে সুবিধা আদায় করছিলেন। এ ছাড়া তাঁরা স্থানীয় লোকজনদের ভয়ভীতি দেখানো, বিভিন্ন নদ–নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ব্যবসা, সীমানার ব্যবসাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের ওই দুজনের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক না রাখার অনুরোধ জানানো হয়।

এদিকে খোকন ও বিপুলের বিরুদ্ধে বিএনপির নাম ব্যবহার করে সীমান্তে চোরা চালান ব্যবসা ও মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বৃহস্পতিবার জানানো হয় ওই দুই ব্যক্তি সংগঠনের কোন পর্যায়ের সদস্য বা কর্মী নন। তাঁদের মাদক ও চোরাই ব্যবসার দায় বিএনপির ও এর কোনো অঙ্গ সংগঠন বহন করবে না। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

এ ব্যাপারে জানতে জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়। রিপন মিয়া জানান অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে দল থেকে সিদ্ধান্তের চিঠি আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে পাননি। আর যেসব অভিযোগে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেসব ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বদল র ব এনপ র ব যবস উপজ ল স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

হামফ্রে ফেলোশিপ–ডাড স্কলারশিপ–আইডিবির প্রশিক্ষণ, আবেদন শেষ ৩১ জুলাই

আমেরিকা হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ, জার্মান সরকারের ডাড হেলমুট-শ্মিট মাস্টার্স স্কলারশিপ এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ে আবেদন চলছে। তিনটির আবেদনের সুযোগ আছে আর দুদিন। আগামীকাল ৩১ জুলাই শেষ হবে হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ, ডাড হেলমুট-শ্মিট মাস্টার্স স্কলারশিপ এবং আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের। আবেদনের পদ্ধতিসহ জেনে নিন এসব বৃত্তি ও ফেলোশিপের বিস্তারিত তথ্য।

১. হামফ্রে ফেলোশিপ: মাসিক ভাতাসহ ১০ মাস আমেরিকায় পড়াশোনার সুযোগ

১০ মাসের হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপে বেসরকারি সংস্থাসহ সরকারি ও বেসরকারি খাতে পেশাজীবীরা আবেদন করতে পারবেন।

ফেলোশিপের সুযোগ-সুবিধা—

নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ টিউশন ফি দেওয়া হবে;

প্রয়োজন হলে প্রাক্‌-একাডেমিক ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে;

জীবনযাত্রার ব্যয় ভাতা;

এককালীন সেটলিং ভাতা;

দুর্ঘটনা ও অসুস্থতাজনিত ব্যয় ভাতা;

বই কেনার খরচ;

কম্পিউটার কেনার জন্য এককালীন ভাতা;

বিমান ভ্রমণ ভাতা (প্রোগ্রামের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইভেন্টে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ;

ফেলোশিপের জন্য প্রয়োজনীয় পেশাদার উন্নয়ন ভাতা যেমন ফিল্ড ট্রিপ, পেশাদার পরিদর্শন ও সম্মেলন।

আরও পড়ুনএসএসসি উত্তীর্ণদের শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক, মাসে আড়াই হাজার টাকা, মিলবে ২ বছর১৩ জুলাই ২০২৫আবেদনকারীর যোগ্যতা—

আবেদনকারীকে অবশ্যই তরুণ ও মধ্য পর্যায়ের নেতৃত্বশীল পদে থাকা পেশাজীবী হতে হবে, যার জনসেবায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ ও পেশাগত জীবনে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন, এমন কেউ আবেদন করতে পারবেন না

পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সনদ থাকতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছর পূর্ণকালীন কাজ করার পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (২০২৫ সালের আগস্টের আগে) এবং তাঁদের শিক্ষা ও কাজসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নীতিগত দিকগুলোয় আগ্রহ থাকতে হবে

শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা একাডেমিক গবেষক এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না। তাঁদের অবশ্যই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত হবেন যদি কেউ বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানোর দায়িত্ব পালন করেন)।

২০২৬ সালের আগস্টের আগে সাত বছরের মধ্যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্নাতক স্কুলে এক শিক্ষাবর্ষ বা তার বেশি সময়ের জন্য লেখাপড়ায় অংশ নিয়ে থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য অযোগ্য হবেন।

২০২৬ সালের আগস্টের আগে পাঁচ বছরের মধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য যোগ্য হবেন না।

ইংরেজি লেখা ও কথা বলা উভয় ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে এবং টোয়েফল স্কোর (ইন্টারনেটভিত্তিক) হতে হবে। প্রার্থীদের যাঁদের টোয়েফল স্কোরের বৈধ মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া শেষে টোয়েফল পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। (আমেরিকান সেন্টার কেবল নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য টোয়েফল পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে।)

আবেদনকারীকে অবশ্যই ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি দেখানোর পাশাপাশি এ কথাও জানাতে হবে যে তিনি কীভাবে এই ফেলোশিপ থেকে উপকৃত হবেন, যা তিনি আগে কখনো হননি এবং হামফ্রে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাড়া এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তাঁর নেই।

ফেলোশিপ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে।

ফাইল ছবি প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ