হেডলাইটের আলোতে দেখি রেললাইনের ওপর হাতি
Published: 26th, July 2025 GMT
চুনতি অভয়ারণ্যের ভেতর দিয়ে ট্রেন চালানোর সময়টা সব সময়ই সতর্ক থাকি। কেননা এখানে হাতি চলাচল করে। কখনো কখনো লোহাগাড়ার রেললাইনেও উঠে পড়ে হাতির পাল। এ জন্য এখানে ট্রেনের গতিও রাখি কম। বিশেষ করে চার কিলোমিটার পথে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি থাকে ২০ কিলোমিটার।
গত মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার থেকে ‘সৈকত এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম। ট্রেনে প্রায় ৫০০ যাত্রী। লোহাগাড়া-হারবাং সেকশনে যখন প্রবেশ করি, তখন রাত ১০টা ২৫ মিনিট। এই জায়গাটাতে আবার রেলপথ বাঁক নিয়েছে। বাঁক নেওয়ার সময় ট্রেনের হেডলাইটের আলোতে সামনের রেলপথ দেখা যায়। সেই আলোতে দেখতে পাই রেললাইনের ওপর একটি হাতি দাঁড়িয়ে আছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়িনি। তাই মুহূর্তের জন্য বিচলিত হয়ে পড়ি। তবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিই। ট্রেনের ব্রেক চাপতে থাকি। এরপর ইমার্জেন্সি বা জরুরি ব্রেক চেপে ধরি। শঙ্কা ছিল কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে যায়। তবে ভাগ্য সহায়। হাতি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল, তার ঠিক আগে গিয়ে ট্রেন থেমে যায়।
বগির দরজায় ক্রমাগত ধাক্কা দিচ্ছে একটি হাতি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আলোনসো যেভাবে রিয়ালকে ভয়ংকর এক দল বানালেন
সব ম্যাচ এক রকম হয় না। কিছু ম্যাচ শুধু জয়-পরাজয়ের হিসাব দেয় না, একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। সেই ম্যাচের পর মনে হয়, দলের ভেতরে কিছু একটা বদলে গেছে। লা লিগায় এই মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো ছিল তেমনই এক ম্যাচ। রিয়াল মাদ্রিদ সে জয়টা উদ্যাপন করেছিল দারুণভাবে। যদিও সেটা কোনো শিরোপা জেতার ম্যাচ ছিল না। বড় ব্যাপার হলো, এমন জয়েও রিয়ালের মধ্যে আত্মতুষ্টি চলে আসেনি। বরং আরও লড়াই চালিয়ে যেতে উজ্জীবিত করেছে।
এল ক্লাসিকোর পর রিয়াল গতকাল রাতে মাঠে নেমেছিল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচেও জাবি আলোনসোর দল দেখিয়েছে একই তীব্রতা, শৃঙ্খলা আর জয়ের ক্ষুধা। সব মিলিয়ে এটা সম্ভবত আলোনসোর অধীনে রিয়ালের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। কারণ, এই জয় শুধু ভালো খেলার নয়, দলের মানসিকতা ও কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রতীকও।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচের ১৩টিতে জিতেছে রিয়াল। লিগে ১১ ম্যাচের মধ্যে জয় ১০টিতে, চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনের তিনটিতেই। এর মধ্যেই নিজেদের আলাদা একটা পরিচয় তৈরি করে ফেলেছে আলোনসোর রিয়াল।
আরও পড়ুনএমবাপ্পের আরেকটি গোল, নাম লেখালেন ডি স্টেফানো, রোনালদোদের পাশে ২০ অক্টোবর ২০২৫শুধু কৌশলগত দিক থেকেই নয়, দার্শনিক ও মানসিক দিক থেকেও দলে পরিবর্তন আনতে পেরেছেন এই স্প্যানিশ কোচ। খেলোয়াড়রা এখন মাঠে আরও স্বতঃস্ফূর্ত, গতিময় এবং আত্মবিশ্বাসী। খেলোয়াড়েরা পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়ায়ও যেন আগের চেয়ে আরও পরিণত। ফলাফল, রিয়াল এখন এমন এক দল, যারা প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার পাশাপাশি নিজেদের পরিকল্পনাও নিখুঁতভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।
এমবাপ্পে ও বেলিংহামের উদ্যাপন