জনপ্রিয়তা পেয়েও দাউদ ইব্রাহিমের কারণে হারিয়ে যান এই অভিনেত্রী
Published: 27th, July 2025 GMT
১৯৮৮ সালের হিন্দি হরর সিনেমা ‘ভিরানা’ মুক্তির পর এক রাতেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী জেসমিন ধুন্না। কিন্তু জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেই তিনি হঠাৎই বলিউড থেকে হারিয়ে যান। নানা জল্পনা-কল্পনা আজও ঘিরে আছে তাঁর চলে যাওয়া নিয়ে। বহু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ‘ভিরানা’ মুক্তির পর জেসমিনের প্রতি অন্ধ মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। তিনি নাকি জেসমিনকে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন, এমনকি তাঁর লোকজন দিয়ে জেসমিনকে অনুসরণও করাতেন।
জেসমিন ধুন্নার ক্যারিয়ার বলিউডে দীর্ঘস্থায়ী না হলেও তাঁর গল্প আজও আলোচনার বিষয়। ১৯৭৯ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ভিনোদ খান্নার সঙ্গে ‘সরকারি মেহমান’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর ১৯৮৪ সালে ‘ডিভোর্স’ ও ১৯৮৮ সালে ‘ভিরানা’—এই তিন ছবিই তাঁর ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়। এরপরই তিনি হঠাৎই হারিয়ে যান রূপালি পর্দা থেকে। ‘ভিরানা’র পর তাঁর সম্পর্কে আর কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।
জেসমিন ধুন্না। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫