ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশার চালকদের কর্মবিরতি, যাত্রীদের দুর্ভোগ
Published: 27th, July 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে জেলাজুড়ে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। সকালে স্ট্যান্ড থেকে কোনো অটোরিকশা ছেড়ে যায়নি। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
একাধিক যাত্রী জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা না থাকায় তারা টমটম নিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তার মধ্যে অটোরিকশার চালকরা টমটম থামিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘সড়কে ট্রাফিক পুলিশের লাগাতার হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ না দিলে মামলা ও জরিমানার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছেন। আমাদের ৫২টি অটোরিকশা জব্দ করা রয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ
কুড়িগ্রামে সেতুর পাটাতন দেবে আটকে গেল ট্রাক, যান চলাচল বন্ধ
তিনি আরো বলেন, ‘‘বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশার লাইসেন্স কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে মালিক-চালকেরা আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের পদে পদে হয়রানি করা হচ্ছে।’’
অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের জব্দকৃত অটোরিকশা নিঃশর্তভাবে ছাড়তে হবে। পারমিট অনুযায়ী আমাদের জেলার সর্বত্র চলতে দিতে হবে ও জেলা ট্রাফিকের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।’’
দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানান অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতারা।
শনিবার (২৬ জুলাই) শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকেরা।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘‘ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কাগজপত্র নেই বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চলছে, তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। কাগজপত্র আনলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র আছে, তারা নির্বিঘ্নে চলতে পারছেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘তারা চাচ্ছেন, তাদের কোনো গাড়ি যেন আমরা না ধরি। ট্রাফিক পুলিশ যেন কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে। এটা তো হয় না।’’
ঢাকা/পলাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য নজট য নজট আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তের জন্য ৫ হাজার বডিক্যাম পাচ্ছে বিএসএফ
ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের পাঁচ হাজার বডিক্যামেরা দেওয়া হচ্ছে। ছোট এসব ভিডিও ক্যামেরা শরীরে সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। কাজগপত্রবিহীন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর দৃশ্য ও তথ্যপ্রমাণ রেকর্ড রাখা এবং কর্তব্যরত বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নির্দিষ্ট কিছু সীমান্তচৌকিতে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষ যন্ত্রপাতিও দেওয়া হচ্ছে। এসব যন্ত্রের মাধ্যমে কাগজপত্রবিহীন বাংলাদেশিদের আঙুলের ছাপ নেওয়া ও চোখ স্ক্যান করে তা বিদেশি নিবন্ধন দপ্তরে পাঠানো হবে।
গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিএসএফের সক্ষমতা বাড়াতে এ দুটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে একটি ‘সমন্বনিত পর্যালোচনার’ পর বিএসএফ সদর দপ্তরের প্রস্তাবিত এ দুটি উদ্যোগ অনুমোদন দিয়েছে।
বিএসএফ সদস্যদের জন্য দুটি ধাপে প্রায় পাঁচ হাজার বডিক্যামেরা পাঠানো হচ্ছে। সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, ক্যামেরাগুলো দিনে–রাতে সমান কার্যকর এবং একটানা প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম।
আরও পড়ুনশেরপুর সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ২১ রোহিঙ্গা ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ২৫ জুলাই ২০২৫সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই বডিক্যামগুলো বিএসএফ যখন কাগজপত্রবিহীন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো বা মাদক, গরু ও জাল ভারতীয় মুদ্রা পাচার, মানব পাচার এবং অনুপ্রবেশ রোধের মতো অপরাধ প্রতিরোধে সীমান্তে অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াবেন, তখন সেসব ঘটনার তথ্যপ্রমাণ রেকর্ডে সাহায্য করবে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ফোরামে অভিযোগ করে আসছে, তাদের নাগরিকদের ওপর ভারতীয় পক্ষ অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও অন্যায় আচরণ করছে। তবে বিএসএফ বারবার বলেছে, তারা সৈন্যদের প্রাণ রক্ষার প্রয়োজনে শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র বা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে।
আরও পড়ুনআরও দুই সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ০৫ জুলাই ২০২৫