কুমিল্লার মাহতাবের কবরে বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিদলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
Published: 27th, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের সময় গুরুতর দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশু মাহতাব রহমান ভূঁইয়ার (১৪) কবর জিয়ারত এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে বিমানবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল। কুমিল্লার দেবীদ্বারে এসে প্রতিনিধি দলটি মাহতাবের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে উইং কমান্ডার মো.
কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রতিনিধিদলের প্রধান উইং কমান্ডার মো. আতিক হাসান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধানের প্রতিনিধি হিসেবে মাহতাব রহমান ভূঁইয়ার কবর জিয়ারতে এসেছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এ দুর্ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। আমরা নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতায় দোয়া প্রার্থনা করছি। এটি একটি পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি। দুর্ঘটনার তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষ হলে আইএসপিআর সবকিছু ব্যাখ্যা করবে।’
মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিমানবাহিনীর প্রধানের প্রতিনিধিদল এসে আমাদের খোঁজখবর নিয়েছে। আমার সন্তানের কবর জিয়ারত করেছে এবং সম্মান জানিয়েছে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু ছেলেটা আর নেই, এটা ভাবতেই পাগল হয়ে যাচ্ছি। মহান আল্লাহ যেন আমার সন্তানকে বেহেশত নসিব করে, সবার কাছে সেই দোয়া চাই।’
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৫২ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহতাব রহমান ভূঁইয়া মারা যায়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাহতাবের শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
মাহতাব রহমান ভূঁইয়া দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়ির মো. মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে। মাহতাব উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে মা–বাবার সঙ্গে থাকত। তার দুই বোন রয়েছে। মাহতাব মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংলিশ ভার্সনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া গ্রেটওয়াল সিরামিকে এজিএম হিসেবে কর্মরত।
২১ জুলাই ছুটির আগমুহূর্তে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক হতাহত হন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ইলস ট ন ম হত ব র র কবর
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা